নামাজ মিরাজের অন্যতম উপঢৌকন। নামাজ একমাত্র ইবাদত যা আল্লাহতায়ালা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে মিরাজের রাতে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যমে এ উম্মতের ওপর ফরজ করেছেন।
আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি নামাজের মাঝে অনেক ধরনের ব্যায়াম নিহিত। যারা নানাবিধ রোগ-শোকে ভুগছেন তারা নিয়মিত নামাজ আদায় করে দেখুন আপনি সুস্থ হতে পারেন। যে সব পরিবারে শান্তি নেই তাদেরকে বলছি, আসুন- যথাযথভাবে নামাজ আদায় করুন আপনার পরিবারে শান্তি আসবে। ব্যবসায় উন্নতি হবে, আপনার সম্মান, মান-মর্যাদা বেড়ে যাবে। যারা বেকার তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
বলা হয়েছে, নামাজ মুমিন ব্যক্তির মিরাজস্বরূপ। অর্থাৎ হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মিরাজের মাধ্যমে যেভাবে আল্লাহর দিদার লাভ করেছেন, মুমিন ব্যক্তিও নামাজে সেরূপ আল্লাহর দিদার লাভে সক্ষম হবে।
নামাজই হলো কাফের ও মুমিন ব্যক্তির মাঝে একমাত্র পার্থক্যকারী। দ্বীনের মধ্যে নামাজ হলো দেহের মধ্যে মাথার মতো। অর্থাৎ মাথাবিহীন দেহ যেমন চেনা যায় না, তেমনি নামাজবিহীন মুসলমানকেও হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মত বলে চিনবেন না। অথবা মাথাবিহীন দেহ যেমন জীবিত থাকে না, অনুরূপ নামাজবিহীন ঈমানও টিকে থাকে না। নামাজ হলো- বেহেশতের চাবি। সুতরাং নামাজের ব্যাপারে অত্যাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা মুমিন ব্যক্তির ঈমানি দায়িত্ব।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এমএইউ/