ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমানের আমলের এই কোরআন শরিফের মূল্যবান কপিটি এত দিন সংরক্ষণ করা হয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরিতে।
১৫ মে চামড়ায় হাতে লেখা পবিত্র কোরআনের এই ছায়ালিপিটি সংগ্রহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন শরিফটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় জাদুঘরকে দেওয়া হয়।
এখন এটি জাতীয় জাদুঘরে করিডরে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
জাদুঘর সূত্রে জানা হেছে, আজ থেকে রমজান মাসজুড়ে কোরআনটি জাদুঘরের লবিতে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রদর্শন করা হবে। পরে এটি মূল গ্যালারিতে নেওয়া হবে।
কোরআনটির দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি। প্রস্থ ১ ফুট। উচ্চতা ৩ ইঞ্চি। ওজন সাড়ে ৭ কেজি। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৭২।
উল্লেখ্য যে, ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.)-এর শাসনামলে বহু দূর-দূরান্তে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে গিয়েছিল। লোকেরা দলে দলে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেই কোরআনের শিক্ষা ও চর্চায় তৎপর হয়ে পড়েন।
কিন্তু অধিকাংশ নওমুসলিম ছিল অনারবি। তারা কোরআন সুস্পষ্টভাবে তেলাওয়াত করতে পারত না এবং অনেক আরবিও নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষায় কোরআন তেলাওয়াত করত; অথচ কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে কোরাইশি ভাষায়। হজরত উসমান (রা.) দেখলেন, বিভিন্ন ভাষার কোরআন পড়ার দরুন উম্মতের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে। তাই তিনি সাহাবিদের পরামর্শক্রমে সব পাণ্ডুলিপি একত্রিত করে কোরাইশি লুগাতের (ভাষা) পাণ্ডুলিপি ছাড়া বাদবাকি পাণ্ডুলিপি নিষিদ্ধ করেন এবং প্রচলিত ‘মাসহাফে উম’ থেকে কপি করে বড় বড় মুসলিম শহরে পৌঁছে দেন।
এ জন্য হজরত উসমানকে জমিউল কোরআন (কোরআন একত্রকারী) বলা হয়। এই নতুন সংকলনের নামকরণ করা হয়- ‘মাসহাফে উসমানি। ’
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এমএইউ/