হামলাকারীদের কুকর্মকারী হিসেবে উল্লেখ করে তাদের জানাজায় শরিক না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
অন্য ইমামদের প্রতিও তারা একই আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের ওই দলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসলামে বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত এমন সব নৈতিক মূলনীতির আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কুকর্মকারীদের জানাজায় অংশ নেব না। এ ধরনের জানাজায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে আমরা অন্য ইমাম ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি।
এর কারণ এ ধরনের কর্মকাণ্ড একেবারেই ইসলামের সুউচ্চ শিক্ষার পরিপন্থী।
ইস্ট লন্ডন মসজিদের বক্তাদের একটি প্যানেল জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। ওই মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যারা আমাদের বিভাজিত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আরও একবার আমরা একত্রিত হলাম। শনিবার রাতে লন্ডনে যেভাবে নির্দোষ লোকজনকে হত্যা করা হয়েছে তার মধ্য দিয়ে আমাদের বিভাজিত করা যাবে না। ’
হাবিবুর আরও বলেন, ‘যারা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালায় তাদেরকে আমি একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, তোমরা ইসলাম এবং আমাদের মহানবী (সা.)-এর মূল শিক্ষার বিরুদ্ধে।
এই পথভ্রষ্টতা তোমাদেরকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা তোমাদের মন্দ লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩ জুন) মধ্যরাতে লন্ডন ব্রিজ ও বোরো মার্কেটে হামলা হয়। লন্ডন ব্রিজে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে এবং পার্শ্ববর্তী বোরো মার্কেটে ছুরি দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়। আর পুলিশের গুলিতে তিন হামলাকারী নিহত হয়। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এমএইউ/