প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে আরবি ও কোরআন শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান খুলনা ল্যাংগুয়েজ ও টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ জহিরুল আমিন বাংলানিউজকে এসব কথা জানান।
সম্ভাবনাময় এই তরুণ আলেম আল কোরআন এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজে বি.এ অর্নাস সম্পন্ন করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটি খুলনা মহানগরীর আহসান আহমেদ রোডের ন্যাশনাল টাওয়ারে অবস্থিত।
কিভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোরআন শিক্ষা সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি ক্লাস পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো। সেই সঙ্গে আমরা প্রোজেক্টর ব্যবহার করি যেটা সরকার চাচ্ছে, প্রতিটি স্কুলে হোক। আমাদের পুরো কোর্সই পাওয়ার পয়েন্টে আমরা সাজিয়েছি। আমরা চাই সকল শিক্ষক তার পাঠদান এভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসুক। সেই লক্ষে আমরা টেকনোলজি বিভাগে কাজ করছি।
কোরআন বোঝার গুরুত্ব কতখানি এমন প্রশ্নের উত্তরে হাফেজ জহিরুল বলেন, একটি বোতলে মধু ভর্তি করে রেখে যদি ছিপি না খুলে বাইরে থেকে বোতলটি মুখে লাগানো হয় তাহলে কি মধু পাওয়া যাবে? ছিপি খুলে মধু খেতে হবে। তেমনি অর্থসহ কোরআন পড়লে প্রকৃত অর্থে কোরআন পড়া হবে।
আসলে কোরআন বোঝার গুরুত্ব এতটাই যে, জীবনের প্রতিটি দিনই আমাদের সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে রমজান মাসে এর গুরুত্ব বেশি। কারণ রমজান মাস সম্মানিত হয়েছে মূলত কোরআনের কারণে। কেননা মহান আল্লাহ সূরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতের শুরুতেই ইরশাদ করেছেন, তিনি রমজানেই কোরআন নাজিল করেছেন এবং সূরা ক্বদরে উল্লেখ আছে যে, কোরআন নাজিলের রাতকে তিনি হাজার মাসের থেকেও শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। এক কথায়, কোরআনকে বাদ দিয়ে রমজানের পূর্ণাঙ্গ পূন্য প্রাপ্তির চিন্তা করে সেটিও অনুচিত।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এমআরএম/এমএইউ/