ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

হজে যাওয়ার আগে যে অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৮
হজে যাওয়ার আগে যে অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি .

সারাবিশ্বের মুসমানদের মিলনমেলা হবে পূণ্যভূমি মক্কায়। ইসলামে মুমিন মুসলমানের এ মিলনমেলা একটি ফরজ ইবাদত। মক্কা নগরীর পবিত্র কাবা শরীফকে মুমিন মুসলমানরা স্বাগত জানিয়ে মুসলিম উম্মাহ এক সুরে গাইবে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’।

পবিত্র হজব্রত পালনকারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের এখনই সময়। নিয়ম মেনে হজ পালনে গুরুত্ব অপরিসীম।

হজ পালনে মুমিন মুসমানদের যে কাজগুলো জানা জরুরি। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো-

হজে যাওয়ার আগে করণীয়: 

** বৈধ অর্থের উৎস থেকেই হজের সব ধরনের খরচের আঞ্জাম দেয়া।
**  ইহরামের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা।

** পাসপোর্ট ও টাকা-পয়সা রাখার জন্য ব্যাগ সংগ্রহ করা।
** প্রতিবেশীসহ আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে দায়-দাবি মুক্ত হওয়া।
** অসিয়ত থাকলে ওসিয়তনামা তৈরি করে রাখা।
** ঋণগ্রস্ত হলে ঋণ পরিশোধ করা।
** দুনিয়াবী সব ধরনের পেরেশানি ও সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া।
**ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা।  
** নামাজ, ইহরাম, বায়তুল্লাহ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া সাঈর দোয়া ও নিয়ম গুলো শিখে নেওয়া।
**  গুরুত্বপূর্ণ আমল ও দোয়াগুলো না জানা থাকলে শিখে নেওয়া।
** হজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘তালবিয়া’ শুদ্ধভাবে মুখস্ত করে নেওয়া।
সর্বোপরি নিজেকে এভাবে তৈরি করা যে-
‘হজ পালনে দুনিয়ার জীবনের শেষ সফর। তাই মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়েই বাইতুল্লায় যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ’

এছাড়া হজের আগে যেসব অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা জরুরি

** সব ধরনের ইচ্ছা, লোভ-লালসা ত্যাগ করা।
** সব ধরনের খারাপ কাজ হতে বিরত নেওয়া।
** বিলাসিতা, পদমর্যাদা, গর্ব ও অহংকার ত্যাগ করা।
**  ইবাদত ও কবর জেয়ারতের প্রতিটি মুহূর্তে তাড়াহুড়া না করে ও বিনয়ী হওয়া।
** দুনিয়ার সব ধরনের অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

মুসলিম উম্মাহর জন্য হজের সব কাজগুলোই আল্লাহ তাআলার একান্ত নির্দশন। এ ইবাদত পালনে যেমন অর্থের প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা।  

আল্লাহর সব নিদর্শনগুলো পরিদর্শনে রয়েছে আনন্দ ও ভালোবাসা তেমনি এর পবিত্র নিদর্শনগুলোর সম্মান ও মর্যাদার প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখা। যাতে আপনার দ্বারা কাবা শরীফসহ পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদা ও সম্মান বিনষ্ট না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৮
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।