ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

মসজিদে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ২৩০ শিশু-কিশোর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
মসজিদে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ২৩০ শিশু-কিশোর

ঢাকা: মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্যোগে ছোট শিশু-কিশোরদের সঠিকভাবে নামাজ আদায়, ইসলামী মূল্যবোধ, ধর্মীয় আচার-আচরণ, নিয়মানুবর্তিতা এবং দ্বীনি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে একটানা ৪০ দিন নামাজ পড়ার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এই উদ্যোগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে মিরপুর ডিওএইচএসের সাড়ে ৩শ’রও বেশি শিশু-কিশোর নিবন্ধন করেছিল।

তাদের মধ্যে ২৩০ জন শিশু-কিশোর সঠিকভাবে টানা ৪০ দিন মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয়। তাদের প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা সর্বনিম্ন ৩০ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করেছে তাদেরকে স্মার্ট ওয়াচ দেওয়া হয়। এই উদ্যোগে সেখানকার চার বছরের শিশু থেকে ১৬ বছরের কিশোররাও অংশ নেয়।

এর আগে গত বছরও মিরপুর ডিওএইচএসে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন ৯৩ জন শিশু-কিশোর টানা ৪০ দিন নামাজ আদায় করায় তাদেরকেও বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময়ের এই সাফল্যে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা ছিল অভিভাবকদের। বাবারা সন্তানদের সঙ্গে করে মসজিদে নিয়ে এসেছেন। আরা মায়েরা তাদের সন্তানদের মসজিদে যাওয়ার জন্য তৈরি করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিভাবকরা পুরো এই বিষয়ে মসজিদ কমিটির সঙ্গে মনিটরিং করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন বলেন, এই উদ্যোগ সফল করতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছেন অভিভাবকরা। তারা বাচ্চাদের যেভাবে প্রস্তুত করে মসজিদে আসতে সহযোগিতা করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি আশাবাদী যে, বিগত দিনগুলোর ন্যায় বাচ্চারা সামনের দিনগুলোতেও মসজিদে আসবে।

অভিভাবক মামুন উর রশিদ বলেন, মিরপুর ডিওএইচএস মসজিদ কমিটির এই উদ্যোগ অনেক প্রশংসনীয়। এভাবে আমাদের দেশের প্রতিটি মসজিদ কমিটির বাচ্চাদের মসজিদমুখী করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমাদের সন্তানরা মসজিদে আসার ফলে অনেক দ্বীনি বিষয় সঠিকভাবে শিখতে পেরেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।