বুধবার (১ আগস্ট) টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোছাম্মৎ মনিরা সুলতানা মামলাটি গ্রহণ করেন এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তালিকাভুক্ত (রেকর্ড) করার জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, জাপা সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, তার ছেলে মোবিন, রাজু ও সানি এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শামসুদ্দোহাসহ আরও দু’জন শুক্রবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইল গোরস্থান জামে মসজিদের কাছে আব্দুস সালাম চাকলাদারকে ঘিরে ধরে।
এসময় সৈয়দ শামসুদ্দোহা তাকে ঘুষি মারে এবং পকেটে থাকা মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। যার মধ্যে ১৬ হাজার টাকা ছিলো বলে বিবনণীতে জানা যায়।
মামলায় আরও অভিযোগ করেন, এসডিএস আইটিসিএল নামক একটি এনজিও গ্রাহকদের টাকা মোজাম্মেল হক আত্মসাৎ করেছেন। গ্রাহক সমিতির সভাপতি হিসেবে মামলার বাদী গ্রহকদের পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। এনজিওটির সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনা পরিশোধের জন্য আদালত রায় দিয়েছেন। কিন্তু জেলা জাপা’র সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক কিছু ভুয়া জাল দলিল করে ওই এনজিওর জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে মামলার বাদী সালাম চাকলাদারের বিরোধ চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামরার আসামি মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, মামলা দায়েয়ের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
জিপি