তারা হলেন- জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ, প্রকৌশলী কেশব লাল দে, মো. জিল্লুর রহমান, মো. আবুল কাশেম, ভরাৎ কুমার চাকমা ও হারাধন মহাজন।
ইতোমধ্যে ওই ৬ নেতার স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পদত্যাগ করা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৬ মাসের জন্য একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আহ্বায়ক অমৃত লাল ত্রিপুরা ও সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলমকে বারবার বলার পরও নতুন জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দলে অভিজ্ঞ সম্পন্ন নেতা থাকার পরও আধিপত্য ধরে রাখতে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কমিটি গঠনে গড়িমশি করছে। ’
আবুল হাসেম বলেন, ‘নির্বাচনে সবচেয়ে ভূমিকা রাখবে তৃনমূল কমিটি। কিন্তু আমাদের তৃনমূলের কমিটি নেই। নেতাকর্মীরাও ঝিমিয়ে পড়েছে। তাহলে নির্বাচনসহ দলের সাংগঠনিক কাজ চলবে কিভাবে। তৃনমূলের নেতাকর্মী না থাকলে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে পারবে না। তাদের স্বেচ্চাচারিতার কারণে দল গঠন হচ্ছে না। এ কারণে আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির কথা বলেছি। কিন্তু আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এসব কথা শোনেন নি।
এ বিষয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, জেলা ও উপজেলার পূর্ণাঙ্গা কমিটি করতে না পারলে নির্বাচনে কাঙ্খিত ফলাফল আসবে না। তবে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে পদত্যাগের নামে দলে বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৮
এডি/ওএইচ/