ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

পূর্ণাঙ্গ উপজেলা বাস্তবায়ন সময়ের দাবি: জিএম কাদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
পূর্ণাঙ্গ উপজেলা বাস্তবায়ন সময়ের দাবি: জিএম কাদের আলোচনা সভায় জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা উপজেলা পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে দিয়েছিলেন, সেটা এখন পুনঃপ্রবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ উপজেলার কার্যকরী প্রাণশক্তি ছিল ‘উপজেলা আদালত’। যার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন এরশাদ। এখন উপজেলা আছে কিন্তু সেখানে আদালত নেই। ফলে গ্রামীণ জনগণ প্রকৃত উপজেলার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা আদালত যে নেই তা নয়।

সেই আদালত বসে জেলা শহরে। ফলে বিচারপ্রার্থীদের দূর-দূরান্ত থেকে আসতে হয় জেলা শহরে। আদালত থাকলে উপজেলা সদর আবার প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি উপজেলা প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ একটি কল্যাণমুখী, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক গ্রামমুখী ও জনপ্রতিনিধত্বশীল প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। যা একটি মডেল হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। এই উপজেলা প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের হৃদয়ে লেখা হয়ে গেছে তার নাম। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন উপজেলা থাকবে। আর যতদিন এই উপজেলা থাকবে, ততদিন ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। এই উপজেলা জাতীয় পার্টির গর্ব। উপজেলাকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব- আগামী দিনের সমৃদ্ধির পথে।

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অনন্য সৃষ্টির মধ্যে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন অন্যতম। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের সঙ্গে ছিলেন। আমরাও সারাজীবন সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করব। নয় বছরের শাসনামলে এরশাদ উন্নয়নের যে কীর্তি গড়েছেন, তা এখনও পর্যন্ত কোনো সরকার করতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিমাজার, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, তিন নেতার সমাধিসহ অসংখ্য রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল কাঠামোই তৈরি করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতিতে কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। অমর হয়ে থাকবেন পল্লীর প্রতিটি মানুষের অন্তরে। তার প্রতি সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেঁচে থাকবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব ফয়সল দিদার দিপু, শ্রমিক পার্টির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি এসএম সোবহান, কৃষক পার্টির সহ সভাপতি রমজান আলী ও মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক জাফরুল্লাহ মজুমদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।