বেশ কিছুদিন ধরে রমা উদ্ভট উদ্ভট স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্নগুলো যে শুধু উদ্ভট তা না! একেবারে হ-য-ব-র-ল।
এই অন্যরকম রমা তখন খুব ছোট। সে মাত্র বাংলা বর্ণমালার ক,খ,গ... লিখতে-পড়তে শিখছে। বড় বোন নাসরিনের কাছে তার হাতে-খড়ি। তবে সে কিছুতেই অক্ষরগুলোকে তার আয়ত্তে আনতে পারছিল না। নিয়মিত বড় বোনের বকা-ঝকা খাওয়া ছিল সঙ্গী। ‘ক’ কে ‘ক’ না বলে তার মনে যা ইচ্ছা তাই বলে দিতো। যুক্তি দাঁড় করতো ‘আমি নিজে বুঝতে পারলেইতো হলো’। বুঝতে চাইতো না-- অন্যকেও তার লেখা বুঝতে হবে।
সেই থেকেই তার নিজস্ব লিপি তৈরির প্রচেষ্টা শুরু। গত ২৪ বছরে একভাবে সে সফলও। এখন তার নিজস্ব লিপি আছে। সে তার নিজস্ব লিপিতে লিখতে পারে, পড়তে পারে। তার মেয়ে বন্ধুকেও সে এই ভাষা ও লিপি শিখিয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে কম ব্যবহৃত ভাষা হিসেব তার উদ্ভাবিত ভাষা ও লিপির নাম গিনিজ বুকে উঠে যাওয়ার কথা! মাত্র দু’জন কোন ভাষা ও লিপি ব্যবহার করে? এ ধরণের প্রশ্ন বিসিএস পরীক্ষায় আসতেও পারতো! সঙ্গে তার নাম, আবিষ্কারক হিসেবে। তার উদ্ভাবিত ভাষার নামও উদ্ভট। ‘রংরী’। র’ তার নামের আদ্যর আর রী’ রীপুর নামের আদ্যর।
কয়েকদিন যাবৎ সে ভাবছিল একটা বিশেষ, না বিশেষ না! কারণ তার অভিধানে বিশেষ শব্দটা নেই। একটা ব্যাপার নিয়ে ভাবছে। সে মশা, মাছি, পিপড়েসহ ছোট ছোট কীট-পতঙ্গের ভাষা শিখবে। এই নিয়ে রীপুর সঙ্গেও কথা বলেছে। অথচ কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। রমার অদ্ভুত স্বপ্ন দেখার এটাই কারণ।
চলবে...