প্রতিদিনের মত সেদিনও স্কুল থেকে বের হতে একটু দেরিই হয়ে গেল। গেইটের বাইরে পা দিয়েই বুঝলাম বেশ ক্ষুধা পেয়েছে।
দোকানি দুই শিশুকে বকাবকি করছে। আর ওরা অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে। দোকানি জানালো, ‘দেখেন না ভাই, ফকিরের বাচ্চারা সিঙ্গারা খেতে চায়, তাও আবার বিনা পয়সায়। ওদের জন্য কি দোকান খুলে বসছি। ’
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম দোকানিরই বা কি দোষ? সারাদিন কত শিশুই তো ওদের এমন বিরক্ত করে ।
আর খেতে ইচ্ছা হল না। টিফিনের বাঁচানো টাকাটা দিয়ে শিশুগুলোকে দুটি সিঙ্গারা কিনে দিয়ে বাসায় ফিরলাম। বাড়ি ফিরে কিছুই খেতে ইচ্ছে করলো না। সবসময়ই সেই ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখটা চোখে ভাসতে লাগলো। মন খারাপ নিয়ে টিভির সামনে বসলাম। জানতে পারলাম দু’দিন পরেই বিশ্ব শিশু দিবস।
মনে মনে ভাবলাম একজন শিশু হয়ে শিশু দিবসে আমার কিছু করা উচিত। রাতে খাবার সময় ঠিক করলাম ওইদিন আমিই ওদের জন্য কিছু করবো। মাকে বলে ১০০ টাকা নিলাম। শিশু দিবসে স্কুল থেকে ফেরার পথে ৫০টা সিঙ্গারা কিনে শুধু ওই শিশুদেরই খাওয়াবো। যারা মাত্র ২ টাকার সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য কতদিন অপেক্ষা করে বসে থাকে।