ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

তোমাদের বন্ধু টম অ্যান্ড জেরি

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২
তোমাদের বন্ধু টম অ্যান্ড জেরি

টম অ্যান্ড জেরিকে তোমরা প্রায় সবাই চেনো। আর তোমাদের মধ্যে খুব কম বন্ধুই আছো যারা নিয়মিত টম অ্যান্ড জেরি কার্টুন দেখো না।



তবে টম অ্যান্ড জেরি কিভাবে কার্টুন চরিত্রে এসেছে তা কী তোমরা জানো?

হলিউডের মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার স্টুডিওর তৈরি ও বর্তমানে হ্যানা বার্বেরা স্টুডিওতে তৈরি হয় জনপ্রিয় এই কার্টুন। এতে টম একটি বিড়াল এবং জেরি একটি ছোট ইঁদুর। যাদের নানা রকম দুষ্টুমি এই কার্টুনের প্রধান বিষয়।

টম অ্যান্ড জেরি চরিত্রের জন্মদাতা হচ্ছেন উইলিয়াম হ্যানা ও জোসেফ বারবারা। প্রায় প্রতিটি পর্বেই দেখা যায়, জেরিকে ধরতে টমের সে কি চেষ্টা। অবশ্য টম কেন জেরিকে এত তাড়া করে তা পরিষ্কার নয়।

টম হল নীলাভ-ছাই, ছাই-নীলাভ অথবা ছাই রঙের পোষা বিড়াল। আর জেরি হল বাদামি রঙের ছোট এক ইঁদুর যার বাড়ি টমের খুব কাছেই। টম খুব অল্পতেই রেগে যাওয়া স্বভাবের হলেও জেরি খুব স্বাধীন আর সুযোগসন্ধানী। টমের সাথে জেরির মানসিকতার কোনই মিল নেই।

প্রতিটি কার্টুনের আইরিস-আউটে সাধারণত জেরিকে বিজয়ীর বেশে দেখা যায় আর টমকে বিফল। তাছাড়াও টমের জয়ের মত বিরল পরিণতিও দেখা যায় থুব অল্প সময়ে। কখনো কথনো বিশেষ করে ক্রিসমাসের সময় টমকে জেরির জীবন বাঁচাতে বা অন্তত উপহার আদান প্রদান করতে দেখা যায়।

মাঝে মাঝে দুজনের দৈনন্দিন ছোটাছুটিকে ওদের রুটিনমাফিক খেলা হিসেবে দেখানো হয়। টম কোন মেয়ে বিড়ালের প্রেমে পড়লে জেরি ঈর্ষাণ্বিত হয়ে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করে এবং টমকে শেষ পর্যন্ত জেরির সাথে হাত মেলাতেও দেখা যায়। তারপর অবশ্য ওরা ওদের পুরোনো খেলাতেই ফিরে যায়।

দুটি চরিত্রেরই মধ্যেই অন্যকে দুঃখ দিয়ে মজা পাবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবুও টমের চরিত্র জেরির থেকে বেশি সচেতন দেখা যায়। জেরিকে খুব বেশি আঘাতপ্রাপ্ত, মরণাপন্ন বা মৃত মনে হলে টম খুব ভয় পেয়ে যায়। জেরি অবশ্য এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিতেও ছাড়েনা। মাঝে মাঝে টমকেও জয়ী দেখা যায় কিংবা উভয়কেই বোঝাপড়া করে নিতে দেখা যায়। তবে এ ধরনের পর্বগুলোতে আগেই কিছু লক্ষণ দেখা যায়।

তো আর দেরি না করে এখনই একটু দেখে নাও টম অ্যান্ড জেরি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২

সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।