ছুটির দিনে ঘুরতে কার না মজা লাগে। তবে ঘুরতে ঘুরতে যদি কিছু জানা যায় তবে কিন্তু মন্দ হয় না।
বিজয়ে মাত্র দু’দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, আলবদর, রাজাকাররা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যার পর যে সব স্থানে ফেলে রেখেছিল তাদের মধ্যে রায়ের বাজার বধ্যভূমি অন্যতম। এখানেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বাঙালি জাতির বিবেক, চেতনা, মননশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এ মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবীদের।
পরিত্যক্ত ইটের ভাটার এ বধ্যভূমি থেকে আজো ভেসে আসে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রতিধ্বনি। বধ্যভূমির বাঁ দিকের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই পাশের দেয়ালের গায়ের লেখাগুলো পড়ার মধ্য দিয়ে মনে পরবে ৭১ এর সেই দিনগুলোর কথা।
প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গার ওপর স্থাপিত সৌধের মূল বেদিটি মাটি থেকে প্রায় আড়াই মিটার উঁচু। স্মৃতিসৌধের প্রধান প্রবেশ পথে রয়েছে একটি বটগাছ। বটগাছটি আদি বটগাছের প্রতিক রূপ। আদি বটগাছের নিচে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে প্রথমে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে পরে ইটখোলায় নিয়ে হত্যা করা হতো। ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন।
বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে ছুটির দিনে এখানে ভীড় জমায় অনেক মানুষ। অনেকে কাছে এই স্মৃতিসৌধ সপ্তাহের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও স্থান করে নিয়েছে। তবে যথাযথ পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হচ্ছে এর সৌন্দর্য্য। রায়ের বাজারের এই বদ্ধভূমিটি দেখতে হলে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ থেকে রিকশা নিয়ে সহজেই যাওয়া যায়। এছাড়াও নিউমার্কেট থেকেও রিকশায় যাওয়া যায়।