গল্পের বই ভালোবাসে অথচ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের একটি বইও পড়েনি এমনটা দেখা যায় না। প্রতি বইমেলায় নতুন বইয়ের জন্য স্টলের সামনে শিশু-কিশোরদের লাইন দাঁড়িয়ে যায়।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখার তালিকায় শিশু-কিশোরদের জন্য যেমন রয়েছে বিভিন্ন কল্পবিজ্ঞানের বই, তেমনি আছে অনেক মজার মজার গল্প-উপন্যাস। তার লেখা হাত কাটা রবিন, আমার বন্ধু রাশেদ, দুষ্টু ছেলের দল তো প্রায় ক্লাসিকের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
এসব উপন্যাসের মধ্যে হাত কাটা রবিন আর দুষ্টু ছেলের দলের কথাই ধরা যাক, এর কাহিনী এগিয়েছে একদল ছেলের জীবনের আনন্দময় একটি সময় নিয়ে যা শেষ হয়েছে জমজমাট একটা অভিযান দিয়ে। কিন্তু আজ আমরা তোমাদেরকে শোনাবো মুহম্মদ জাফর ইকবালের অপর একটি উপন্যাসের কথা, যার নাম ‘জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়’।
এ উপন্যাসটির কাহিনীতেও রয়েছে ভিন্ন ধরণের অভিযান। এ অভিযানে অংশ নেয় মুনির ও সলীল নামের দ্ই কিশোর। অভিযান মানেই বিভিন্ন রহস্যভেদ করা, নিত্য নতুন বিপদের মুখোমুখি হওয়া। কিন্ত জারুল চৌধুরীর ছেলেদের বিপদগুলো যেন কেমন, তাদের সব বিপদগুলোই আসে নিজেদের চারপাশ থেকেই।
আসলে আমাদের কারোরই জীবন তো নির্ভেজাল আনন্দের নয়। স্বেচ্ছায় আমরা ডাকাত দলের পেছনে দৌঁড়াই না, বা দুষ্টুমির শেষে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কেবল আদর মেশানো বকার প্রত্যাশা করি না। আমরা রাস্তায় সাবধানে চলি, অপরিচিতদের সন্দেহের সাথে দেখি, আমরা কেউ কেউ বড়দের কাছ থেকে সতর্ক দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য হই। অনেকাংশেই আমাদের জীবন মুনীর এবং সলিলের মত খানিকটা কঠিন, অনেকখানি সাধারণ, এমনকি একটু মলিন।
তারপরও, আমরা দেখব, কী ভাবে এই দুই কিশোর অনায়াসে সেই জীবন থেকেই যতখানি সম্ভব ভালোটা নেয় খারাপটা পরিত্যাগ করে। ভাঙ্গাচোরা একটা বাড়ির মধ্যে তারা খুঁজে নেয় প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসস্তুপ। নদীর দিকে তাকিয়ে চলে যায় বেদের বহরের সাথে। দেখব কীভাবে তারা অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে বেঁচে ফিরে আসে। তো আর দেরি না করে ঝটপট সংগ্রহ করে পড়ে নাও ‘জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়’ বইটি। এটি প্রকাশিত হয়েছে জ্ঞানকোষ থেকে।