ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার শখ কার না হয়! কিন্তু ছবি তুলতে হলে চাই ক্যামেরা। এখন ফিল্ম ও ছবি ডেভলপ করার প্রয়োজনও কম।
ইউনিসেফ ও দৃক ফটো লাইব্রেরি যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের শ্রমজীবী শিশু’ শীর্ষক এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এসব আলোকচিত্রের আরেকটি প্রদর্শনী তোমরা আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৭ দিন দেখাতে পাবে ঢাকার ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে।
আরও মজার ব্যাপার কী জান? ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছবিগুলো দেখানোর জন্য ভ্যানে করে ছবিগুলো নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হবে। তোমাদের স্কুলের সামনেও হয়তো কখনো দাঁড়িয়ে থাকবে। দেখতে ভুলবে না কিন্তু!
ওহ! বলতে ভুলেই গেছি! বরিশালের নৌকায় করে ছবিগুলোর প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বরিশালের বন্ধুরা তোমরা কিন্তু এ সুযোগ হাতছাড়া করবে না!
সোমবার প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের আবাসিক প্রতিনিধি ক্যারল ডি রয়, পাঠশালা-সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফটোগ্রাফির অধ্যক্ষ শহীদুল আলম ও টেলিনর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার পার এরিক হিল্যান্ড উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুড়িজন ুদে আলোকচিত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে শহরের ভবন, বাজারসহ নানা অসঙ্গতির দৃশ্য উঠে আসে কর্মজীবী এই শিশুদের ক্যামেরায়। শহরের রাস্তার বিষয়বস্তু, কঠিন পরিবেশে বসবাসকারী শিশু-কিশোরের অবস্থা, কাজ করতে বাধ্য-হওয়া শিশুর ছবি উঠে আসে তাদের ক্যামেরায়।
১৩ বছরের আলোকচিত্রি শাহীন ছবি তোলার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘একটি বাসায় আমি কাজ করতাম। সেখান থেকে রাগ করে পালিয়ে যাই। এরপর কোথাও থাকার জায়গা ছিল না। এরপর কারওয়ানবাজারে মানুষজনের কাছে ভিক্ষা করে কাটিয়েছি দুই মাস। ’
ছবি তোলার সময় শাহীন তার সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে রেখেছিল। সেভাবেই তার মতো করে সে ছবি তুলেছে, যে ছবিতে তার ফেলে আসা জীবনেরই ছবি রয়েছে বলে মনে করে শাহীন।
উদ্যোক্তারা বললেন, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ঢাকা ও বরিশালে বসবাসকারী শ্রমজীবী শিশুদের আলোকচিত্রের মাধ্যমে তাদের নিজেদের কাহিনী তুলে ধরতে উৎসাহিত করা। এই প্রদর্শনী শিশুশ্রমের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার যুক্তিকে পরাজিত করার জন্য শিশুশ্রম বিরোধী কর্মাভিযানেরই অংশ। ’