ঢাকা শহরের মশা ভাইরে
অতি চিকন সূঁচ
সময় মত সূঁচ ফুটিয়ে
বুঝিয়ে দেয় বুঝ।
মশার জ্বালায় পালিয়ে বেড়াই
এদিক সেদিক ঘুরে
সারা দুনিয়ার মশা যেন
আমার কাছেই মরে।
রাতের বেলা ঘুম আসেনা
মশায় কামড় দিলে
মনে হয় ডুবে থাকি
খাল নদী বিলে।
হঠাৎ সেদিন মশারী আমার
খানিকটা গেল ছিঁড়ে
হারিয়ে গেলাম জ্যান্ত মানুষ
অনেক মশার ভীড়ে।
এপিঠ ওপিঠ কামড় মারে
চাপড় দেই গায়
সবচেয়ে জ্বালা ধরে
কামড় দিলে পায়।
সারা রাত মশার সাথে
চললো ভীষন যুদ্ধ
মারলে মশা শেষ হয়না
হলাম দারুন ক্ষুব্ধ
পরদিন সকালে মশারী কিনে
ভাবলাম আমি বীর
দেখব এবার মশার কাছে
আছে কত তীর।
রাতের বেলা মশারী ফেলে
বিছানাতে ছিলেম বসি
গতরাতের ঘটনা ভেবে
পেল মনে হাসি।
কেমন করে একটি মশা
ভিতরে ছিল ঢুকে
সুযোগ বুঝে কামড় দিলে
ভাবনা গেল চুকে।
আজকে যদি হাতের কাছে
পেতাম বড় কামান
তোপের মুখে উড়িয়ে দিতাম
দুষ্টু মশার জান।
আমরা কি সব বসত করি
গভীর জঙ্গল বনে
রাতের বেলা ঘুম আসেনা
মশার ভনভনে।
মশা অতি ধূর্তপোকা
আঁধারে থাকে মিশে
সুযোগ পেলে মানব পশুর
রক্ত খায় চুষে।
শীত নেই গ্রীষ্ম নেই
মশারী টাঙ্গানোর পালা
ভাল লাগেনা নিত্য নতুন
মশার কামড় জ্বালা।
মশা অতি ধূর্ত পোকা
সবাইকে সে চেনে
ঢাকার মশা সত্যিই চাষা
ভদ্রতা নাহি জানে।