প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে আমরাই গড়বো সুন্দর বাংলাদেশ। এই স্লোগানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের শেষদিন হয়ে গেল শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন ‘চিল্ড্রেন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’।
শিশুদের জন্য এ আয়োজনের সমন্বয়কারি হিসেবে ছিলেন মুনির হাসান। এতে শিশুরাই ছিল বক্তা। বিভিন্ন বয়সের ৭ জন বক্তা এ সেমিনারে অংশ নেয়। দর্শকের সারিতে ছিল বিভিন্ন স্কুল থেকে আসা প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী।
রাজবাড়ী থেকে আমন্ত্রীত অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিফাত হাসান আদর তার বক্তব্যে বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমাদের জীবনকে বদলে দেওয়া সম্ভব। একমাত্র গুগলই যথেষ্ট আমাদের বদলে দিতে। তথ্য অবাধ আবারিত। আমরাই সে আবারিত তথ্যের বিশ্বেই বাস করছি।
অন্যদিকে সাফায়াত হোসেন স্বচ্ছ উইকিপিডিয়ার নিয়মিত কনট্রিবিউটার। দর্শক সারিতে বসে থাকা সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত ২৬৫টি লেখা উইকিপিডিয়াতে লিখেছি। আমি এতো ছোট হয়েও লিখছি। উইকিপিডিয়াতে লিখতে বিশেষ কোনো যোগ্যতার দরকার নেই।
স্বচ্ছ আরও বলেন, আমাদের সবার উচিত বাংলা উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করা। তাহলে বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষা গুরুত্বের সহকারে বিবেচিত হবে।
ব্লগ বিষয়ে অসাধারণভাবে পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপনা দেয় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ফারদিন মুনির। তিনি বলেন, প্রযুক্তি আমাদের অসম্ভব শক্তি দিয়েছে। আমাদের উচিত সে শক্তি ব্যবহার করা।
এছাড়াও ফারদিন মুনির ব্লগের বিভিন্ন দিক তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন।
ইউনিসেফের রাজশাহীর বিশেষ স্কুল থেকে আসেন রোকাইয়া হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও মাঝখানে চলছিল প্রশ্ন উত্তর পর্ব। প্রাণবন্ত এ আলোচনার বিশেষ দিক ছিল, প্রশ্ন করলেই পুরস্কার এবং উত্তর দিলেই পুরস্কার।
এক ঝাক শিশুদের অংশগ্রহণে মুগ্ধ হোন উপস্থিত স্কুল শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ। তারা বলেন, শিশুদের জন্য এ আয়োজন নিয়মিত হলে তারা প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের শনিবার ছিল শেষ দিন। নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্দা নামে ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি