মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে লাখো জনতার ঢল নেমেছিল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। জাতীয় পতাকার লাল সবুজ বর্ণিল সাজ শোভিত করে রেখেছিল গোটা স্মৃতিসৌধ এলাকাকে।
বাবা শরিফুল ইসলাম ও মা শরিফা খাতুনের সঙ্গে সাভারের স্মৃতিসৌধে আসে স্থানীয় বাইপাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া। বাবা শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “নতুন প্রজন্মকে দায়মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে হবে। ওদেরকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। ”
বাবার হাত ধরে স্মৃতিসৌধে প্রথমবারের মত ফুল দিতে এসেছে ৮ বছরের শিশু অর্পিতা। সে জানানে না মুক্তিযুদ্ধ কী বা কবে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ? কিন্তু বাবার দেখাদেখি সেও একটি গোলাপ ফুল শহীদ বেদিতে অর্পণ করে।
অর্পিতার বাবা নজরুল ইসলাম জানলেন, “আজকে শিশুরাই আগামী দিনের মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক। তাদের ছোট থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ও দেশকে ভালবাসার শিক্ষা দিতে হবে। না হলে বর্তমানে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জোরে তারাও স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে যাবে। ”
এসময় শিশু-কিশোরারা স্মৃতিসৌধে যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আল বদর, আল সামসদের বিচার দাবি করে ব্যাঙ্গাত্বক চিত্রও প্রদর্শন করে। এয়াড়া আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের আয়োজনে অনেক শিশুকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রতিকী অনশন করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি