‘আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি/পচা অতীত/গিরিগুহা ছাড়ি খোলা প্রান্তরে/গাহিব গীত/সৃজিব নতুন ভবিষ্যৎ। ’ কাজী নজরুল ইসলামের কথার মতো আমাদের ফেলা আসা অতীত কি সত্যিই পচা? আর বর্তমানের পথ ধরে নির্মাণ করি সুভবিষ্যৎ? এ প্রশ্নের খুঁজতে গেলে আজ তোমাদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো হবে না।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার মতো ‘এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান/জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে। ’। এ কবিতার মতো দেয়াল, টেবিল দখল করে নেবে চকচকে কাগজে ছাপা রঙিন ক্যালেন্ডার। আহা রঙিন, কী মিষ্টি গন্ধ সে ক্যালেন্ডারের। তাই তোমরা পুরাতন বছরের ক্যালেন্ডার দূরে সরিয়ে দাও। সেখানে টাঙিয়ে দাও নতুন বছরের বর্ষপঞ্জি। এই দেখো- কথা বলতে বলতে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতেই ভুলে গেছি। বিদায় খ্রিস্টিয় বছর ২০১২, স্বাগত ২০১৩। এসো আমরা বসাই বলি সুস্বাগত ২০১৩ সাল। এক নিঃশ্বাসে সবাইকে জানিয়ে দিই নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ‘কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও/তারি রথ নিত্যই উধাও...’। সেই রথ সবসময় চলে তার নির্দিষ্ট গতিতে। আমরা যতই তার লাগাম টেনে ধরতে চাই ততই সে দ্বিগুণ শক্তিতে এগিয়ে চলে সামনের দিকে। সুতরাং আমরা না চাইলেও সামনের দিকে আমাদের যেতেই হবে। হ্যাঁ, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে চাই। অতিক্রম করতে চাই সকল বাধা, সকল প্রতিবন্ধকতা।
মঙ্গলবার ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট থেকেই শুরু হয়ে যাবে নতুন বছর। শুরু হবে স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের ফুল দিয়ে, মুঠোফোনে কিংবা ইমেইলে হ্যাপি নিউ ইয়ার বার্তার আদান-প্রদান। সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে নতুন বছরের স্ট্যাটাস আর ব্লগসাইটগুলোতে নতুন বছর নিয়ে নানান পোস্ট। চারদিকে উৎসবের আমেজ যে শুরু হবে তা আমরা অন্যান্য বছরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। ধরে নিতেই পারি তোমরাও এসবের সারথি হবে। আবারও সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা। বন্ধুরা ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটা উল্টে দাও। সেখানে লাগিয়ে দাও ক্যালেন্ডারের নতুন পাতা। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১২
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি