ঢাকা: বাংলাদেশের শিশু চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে যে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে তাদের পক্ষে অস্কারের মতো পদক ছিনিয়ে আনা অসম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সপ্তাহব্যাপী ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিশুচলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধকের বক্তব্যে তিন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, “আমাদের শিশু চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে যে উজ্বল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, তাতে অস্কার পাওয়ার মতো যোগ্যতা এখনি দৃশ্যমান। তারা দেশ ও দেশের মানুষের কথা বলছে। এদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখছি। ”
শিশুদের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, এসব শিশুদের মধ্যে কোনো মৌলবাদী চেতনা নেই। তারা কে কোন ধর্মের, মতের কিংবা পথের তা জানতে চায় না; কেবল দেশের কথা বলতে চায়। ”
শিশুদের আরো উন্নত চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য আহ্বান জানিয়ে দেশের এ বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী বলেন, “এখন অক্ষর দিয়ে ভাষা তৈরি হয় না, ছবি দিয়ে ভাষা তৈরি হয়। ছবির ভাষাই এখন আন্তর্জাতিক ভাষা। তোমাদের (শিশুদের) সেই ভাষাতেই কথা বলতে হবে, বিশ্বে তুলে ধরতে হবে বাঙালি কতো উন্নত জাতি-বীরের জাতি। ”
দেশিয় শিশুচলচ্চিত্রকারদের সাফল্য আর শিল্প নৈপূণের কথা তুলে ধরে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, আয়োজক সংগঠন চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি প্যাসকেল ভিলেনিউভ, কানাডিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা ন্যান্সি ট্রিটস বটকিন, উৎসব পরিচালক চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে বিকেলে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের মূল ভেন্যু কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এ উৎসব উদ্বোধন করেন মুস্তাফা মনোয়ারসহ অন্যরা।
পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে টিএসসি হয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়।
শনিবার শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে ২২টি ভেন্যুতে ৪২টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ঢাকার উৎসবে ৬০ জন ক্ষুদে নির্মাতাসহ ১২৫ জন শিশু প্রতিনিধি এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৩
এআই/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর