বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নির্ধারিত ৪টি ‘শিশুপ্রহর’-এর প্রথম প্রহর আজ শুক্রবার।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকেই মেলার দুয়ার অবারিত হয়েছে শিশুদের জন্য।
শিশু কর্নারটি সাজানো হয়েছে নজরকাড়া সব কার্টুনে। স্টলগুলোতে নয়ন জুড়ানো ছবি সম্বলিত বই সাজানো রয়েছে। বই ছাড়াও আছে খেলতে খেলতে বর্ণমালা শেখার সরঞ্জামাদি। আছে কাঠ ও প্লাস্টিকের তৈরি সংখ্যা, বর্ণ। আছে ছড়া ও গানের বইও।
শিশু কর্নার ঘুরে ঘুরে দেখছে শিশুরা, হেসে খেলে বেড়াচ্ছে, দৌড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। কোনো কোনো শিশু নজরুল চত্বরের বটবৃক্ষের তলে খেলছে লুকোচুরি। কেউবা কাজী নজরুল ইসলামের ভাস্কর্যের গলা ধরে ঘুরে ঘুরে দুলে দুলে গাইছে গান।
বইমেলার শিশু কর্নারের এই আনন্দমেলায় কথা হয়, কয়েক শিশুর সঙ্গে। মেলা কেমন লাগছে জানতে চাইলে জুরাইন থেকে আসা এক শিশু বলে, ‘অনেক মজা মেলায়’। বই কিনেছ? এ প্রশ্নের উত্তরে বলে- ‘ভূতের বই কিনেছি’। ঠিক তক্ষুণি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক শিশু ভয় দেখানোর অভিনয় করে চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে ‘ওরে বাবা জ্বিন!’ আর আঙুল দিয়ে দেখায় কাছের স্টলটিতে একটি বই। বইটির নাম ‘ওরে বাবা জ্বিন’।
শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হাজির হই সবচেয়ে ভিড়জমা স্টলটিতে। শিশু একাডেমীর স্টলে যেন উপচে পড়েছে শিশু-কিশোর।
দেখা গেল, তারা নজরুল-রবীন্দ্রনাথের কিশোর উপজীব্য রচনা সংগ্রহগুলি ঘুরে ঘুরে দেখে কিনে নিচ্ছে। এছাড়া আছে হাশেম খানের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে আকর্ষণীয় শিশুদের সব বই।
‘ওয়ার্ল্ড অব চিলড্রেনস বুক’-এর স্টলটিতে কিশোর ক্রেতারা মনোযোগ দিয়ে বই খুঁজছে। কেউ কেউ বেছে নিচ্ছে শাহরিয়ার কবিরের ‘একাত্তরে যীশু’; কেউবা নিচ্ছে রাবেয়া খাতুনের ‘বীর যোদ্ধা নিশান’। আগ্রহ নিয়ে উল্টে-পাল্টে দেখছে শরীফ খানের ‘সার্কাসের ছেলে’।
শিশু কর্নারে নিজেদের প্রকাশিত ও পরিবেশিত শিশু-কিশোরদের বই নিয়ে স্টল সাজিয়েছে বেশ কিছু প্রকাশনী ও প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে রঙের ফুল, ঝিঙেফুল, টইটম্বুর, পাঠশালা ও ফুলকি বই ঘরসহ অন্যান্য স্টলগুলোতেও জমেছে শিশুমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর