ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

পহেলা বৈশাখের টুকিটাকি

সানজিদা সামরিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৩
পহেলা বৈশাখের টুকিটাকি

শুরুটা যেমন ছিল
পহেলা বৈশাখ বাঙালি ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্যিএকটি অংশ। বাংলা বছর শুরু হয় বৈশাখ দিয়ে।

জানা যায়, সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকেই বাংলা সন গণনা করা হয়। সে সময়ে চৈত্র মাসের শেষ দিন কৃষকদের কাছ থেকে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করা হতো। আর বছরের প্রথমদিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে খোলা হতো নতুন হালখাতা। সেদিন সবাই সবাইকে মিষ্টিমুখ করাতো আর উৎসবে মেতে উঠতো। সে সময়ে এই দিনটি মূলত কৃষিভিত্তিক পার্বণের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে পহেলা বৈশাখ দেশজ  উৎসব হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে পহেলা বৈশাখ বাঙালির অন্যতম প্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
 
মুখোশের ব্যবহার
কৃষিভিত্তিক সমাজে কৃষকেরা কর, খাজনা প্রভৃতি নিয়ে জমিদারদের দ্বারা নানাভাবে নিপীড়িত হতো। কর প্রথা বিলুপ্তির পর সমাজে মঙ্গলবিনাশী শক্র দমনের উদ্দেশ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হতো।

এই শোভাযাত্রায় নানারকম দেবদেবী থেকে শুরু করে পশু-পাখি ও বিভিন্ন কাল্পনিক চরিত্রের উপস্থাপন করা হয়। যা সমাজের অসঙ্গতিসহ নানা দিক তুলে ধরে।

বর্তমানে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ ত্রিপুরায় বেশ জাঁকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-ichchheghuri@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।