যিশুর মা মাতা মেরি ছিলেন ইসরাইলের নাজারেথবাসী যোসেফের বাগদত্তা। একদিন এক দেবদূতের মাধ্যমে তিনি জানতে পারলেন, মানুষের মুক্তির পথ দেখাতে তাঁর গর্ভে আসছেন ঈশ্বরের পুত্র।
তিনি এমন এক সময় জন্মগ্রহণ করেন যখন অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ভণ্ডামিতে ভরে উঠেছিল পৃথিবী। মানুষের মধ্যে ছিল না শুদ্ধতা, নীতি-নৈতিকতা। খ্রিস্টীয় ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে জানা যায়, যিশুর জন্মকালে আকাশ থেকে ভেসে এসেছিল দৈববাণী, `তোমাদের মঙ্গলের জন্য পৃথিবীতে এ রাতে ঈশ্বরের পুত্র এসেছেন। `
আর ঈশ্বরের এই পুত্রই যিশুখ্রিস্ট। যিনি মানুষকে মুক্তি ও কল্যাণের পথ দেখিয়েছেন। ক্রিসমাসে তাই তাকে গভীরভাবে স্মরণ করে সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
যিশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে খ্রিষ্টানরা এ দিনকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করে। ৪৪০ সালে পোপ এদিবসকে স্বীকৃতি দেন। তবে উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্যযুগে। সেসময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ক্রিসমাস দিবসে সরকারি ছুটির দিন।
সূত্র: ইন্টারনেট