ফুল মানেই সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুল দেখে মন ভোলে না এমন মানুষ পাওয়া দায়।
বানরমুখো অর্কিড
ফুলটির নাম মূলত ড্রাকুলা সিমিয়া। তবে বানরের মুখের মতো দেখতে হওয়ায় একে ‘মানকি অর্কিড’ বা বানর অর্কিড বলা হয়। এটি অত্যন্ত দুর্লভ প্রজাতির অর্কিড। এ অর্কিডটি পেরু এবং ইকুয়েডরের কিছু স্থানে পাওয়া যায়।
নৃত্যশিল্পী অর্কিড
এ অর্কিডটি দেখলে মনে হয় একটি মেয়ে নাচছে। তাই একে ‘ড্যান্সিং লেডি অর্কিড’ বা ‘ড্যান্সিং গার্ল অর্কিড’ বলা হয়। ফুলটির আসল নাম Oncidium orchid। এই অর্কিডটি গ্রিনহাউজ বা বাড়ির বাগানে লাগানো যায়। এটিকে ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবেও লাগানো যায়।
মৌমাছি অর্কিড
মৌমাছি অর্কিডের বৈজ্ঞানিক নাম Ophrys apifera। ল্যাটিন শব্দ apifera বলতে বোঝায় মৌমাছির মতো দেখতে। এটি আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ড প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়। এই ফুলটি দেখতে একদম মৌমাছির মতো, যেন একটা মৌমাছি হাত নেড়ে হাসিমুখে সম্ভাষণ জানাচ্ছে।
মথ অর্কিড
Phalaenopsis নামের অর্কিডটি মথ অর্কিড নামে পরিচিতি পেয়েছে তার চেহারার কারণে। এরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিবাসী। গোলাপি রঙের এই অর্কিড দেখতে মথের মতো।
হোয়াইট এগ্রেট অর্কিড: সাদা উড়ন্ত পাখি
সাদা রঙের পাখির মতো দেখতে এই অর্কিডের আসল নাম Habenaria radiata। চীন, জাপান, কোরিয়া এবং রাশিয়ায় পাওয়া যায় এই অর্কিড। এদের আরও ডাকা হয় White Egret Flower, Fringed Orchid, Sagiso নামে।
উড়ন্ত হাঁস অর্কিড
এই ছোট্ট অর্কিডটি পাওয়া যায় দক্ষিণ ও পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায়। মূল নাম Caleana major। ফুলটি দেখে মনে হয় একটি ছোট্ট হাঁস উড়ে যাচ্ছে। সেজন্য উড়ন্ত হাঁস অর্কিড নামেই এর পরিচিতি। এটি ১৫-২০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। ১৯৮৬ সালে এই ফুলের ছবি সংবলিত ডাকটিকিট ছাপে অস্ট্রেলিয়া।
হাসিমুখের প্যানসি:
প্যানসি ফুলের একটি প্রজাতি এই হাসিমুখ প্যানসি। এই ফুলটি রঙিন ও হাসিখুশি। দেখে মনে হয় সবসময়ই হাসছে। এমন সুখী ফুল দেখলে সব কষ্ট ভুলে নিজেকেও সুখী মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৩
এমএনএনকে/এএ/আরআইএস