তিমিকে ছবি আঁকতে দেখলে কী অবাক হবে? তাহলে জাপানের ইয়াকোহামার ‘হাকিজেমা সি প্যারাডাইস’ অ্যাকুরিয়ামের তিমিগুলোকে দেখলে অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। ওরা কয়েকদিন পর দর্শনার্থীদের সামনেই রং-তুলি নিয়ে আঁকা শুরু করবে।
ইতোমধ্যেই ‘হাকিজেমা সি প্যারাডাইস’ অ্যাকুরিয়ামে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই বেলুগা তিমিগুলোকে। মানুষের মতো হাত দিয়ে তুলি ধরতে না পারায় মুখ দিয়ে তুলি ধরেই ছবি আঁকছে ওরা। এখন অবশ্য শুধু দুটো মেয়ে তিমি চিত্রশিল্পী হওয়ার জন্য পরিশ্রম করছে। ওদের দুজনকেই শেখানো হচ্ছে ছবি আঁকার কলাকৌশল। আঁকতে শেখাচ্ছেন প্রশিক্ষিত আঁকিয়ে।
শরৎকালীন ছবি আঁকার প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে বেলুগা বা সাদা তিমিগুলোকে ছবি আঁকা শেখানো হচ্ছে। আঁকতে শিখে যাওয়ার পর তারা দর্শনার্থীদের সামনে ছবি আঁকবে। দর্শনার্থীরা কাট-আউট কাগজ হাতে নিয়ে পানির কিনারে দাঁড়াবেন। সেটা না করতে চাইলে প্রশিক্ষক পানিতে নেমে তিমির সামনে কাগজ এগিয়ে ধরবেন। তারপর নির্দেশ অনুযায়ী সেই কাগজে রং দিয়ে ছবি আঁকবে তিমি।
এ প্রজাতির তিমিগুলো বিপন্নপ্রায় হওয়ার কারণে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তাদের লাল তালিকাভুক্ত করেছে। আর এই বিপন্নপ্রায় প্রাণীটিকে দিয়ে এমন খেলা দেখানোটা একদমই পছন্দ না প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের। তাদের মতে এটা তিমিগুলোর প্রতি একধরনের অত্যাচার। তাই এটা বন্ধ করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
তবে যাই হোক না কেন, দর্শনার্থীদের আনন্দ দেওয়ার খুব ভালো পন্থা তিমির ছবি আঁকা। ভালো হোক কিংবা মন্দ, তিমিকে ছবি আঁকতে দেখলে মুগ্ধ হতে হবে যে কাউকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৩
এমএনএনকে/এডিবি