চওড়া কাঁচা রাস্তা। রাস্তা যেখানে শেষ সেখান থেকেই মাঠের শুরু।
মাঠের ওপারের গাছগুলোকে সবাই বলে আদু বন। কারণ সেই বনে আদু নামে এক কাঠুরিয়া বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ওই বনে বাস করা সেই কাঠুরিয়া বনে কাঠ কাটতো আর মনের সুখে গান গাইতো। তার মনে কোনো চিন্তা ছিল না। কারণ সে সারাদিন ধরে কাটা কাঠ পরের দিন বাজারে বিক্রি করতো। কাঠ বিক্রির টাকা দিয়ে চাল ডাল শাকসবজি কিনে আনতো। তারপর খেয়ে-দেয়ে চিন্তাহীন ঘুম।
একদিন সকালে সে দেখলো বনের উপর দিয়ে একঝাঁক পাখি উড়ে যাচ্ছে। কাঠুরিয়া চিন্তা করলো এত পাখি একসঙ্গে কোথায় যাচ্ছে! সে যখন এমন ভাবছে ঠিক তখনই দেখলো আরও একটি পাখি ওই পথ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে।
কাঠুরিয়া পাখিটিকে দেখে বলল, পাখি ভাই একটু দাঁড়াও। আমি তোমার সঙ্গে একটু কথা বলব।
পাখিটি বলল, ভাই আমি এখন খুব ব্যস্ত। সামনের দুই ঝাঁকে আমার বন্ধুরা চলে যাচ্ছে। আমাকে দ্রুত তাদের কাছ পৌঁছাতে হবে। কাঠুরিয়া বলল, তোমার সামনের দুই ঝাঁকে মোট কতটি পাখি আছে?
পাখিটি বলল, সামনে যত পিছনে তার দ্বিগুণ। আর আমিসহ মোট একশো। এই কথা বলে পাখিটি উড়ে চলে গেল।
বন্ধুরা, এখন মাথা খাটিয়ে বলতে হবে সামনের ঝাঁকে কতটি পাখি ছিল। আর পিছনের ঝাঁকে কতটি পাখি ছিল এবং শেষের পাখিটিসহ মোট কতটি পাখি?
উত্তর মিলিয়ে নাও : সামনের ঝাঁকে ছিল ৩৩টি পাখি। পিছনের ঝাঁকে ছিল ৬৬টি পাখি। এবং সে নিজেই একটি পাখি। এই মোট ১০০টি পাখি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৩
এএ/এসআরএস