কাঠ খোদাইয়ের কাজে পারদর্শী শিল্পীরা কাঠের উপরই ফুটিয়ে তুলতে পারেন দৈনন্দিন জীবনযাপনের চিত্র। তারা সাধারণকে করে তোলেন অসাধারণ।
কাঠ খোদাই করে শিল্প তৈরি করে প্রশংসা পাওয়া যায়, খ্যাতি লাভ করা যায়, বাণিজ্যিকভাবে নিলে অর্থও আয় করা যায়। কিন্তু কাঠ খোদাই করে কী বিশ্বরেকর্ড!
হ্যাঁ, এক খণ্ড কাঠের টুকরোর উপর বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা খোদাইয়ের কাজ করেই গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছেন চীনা কাঠ খোদাই শিল্পী ঝেং চুনহুই।
ঝেং যে চিত্রটি খোদাই করেছেন, সেটি মূলত জনপ্রিয় চীনা চিত্রকর্ম ‘অ্যালং দ্যা রিভার ডিউরিং দ্যা কেংমেং ফেস্টিভ্যাল’ এর অনুকরণে করা। শিল্পী ঝ্যাং জেডুয়ানের এই চিত্রকর্মটি আঁকা হয়েছিল প্রায় ১০০০ বছর আগে। এতে চীনের মানুষের জীবনযাপন তুলে ধরেছেন শিল্পী।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিল্পী এটির অনুকরণে ছবি এঁকেছেন। তবে নিঃসন্দেহে ঝেং চুনহুইয়ের কাজটি সবার চেয়ে আলাদা।
বেইজিংয়ের প্যালেস মিউজিয়ামে প্রথম ঝেংয়ের কাজটি উন্মোচিত হয়।
একটি গাছের কাণ্ডের উপর পুরো চিত্রটি খোদাই করেছেন ঝেং। এটি ১২.২৮৬ মিটার লম্বা। উচ্চতা ৩.০৭৫ মিটার ও প্রস্থ ২.৪০১ মিটার।
এই খোদাইকাজ করতে চার বছর সময় লেগেছে ঝেং চুনহুইয়ের। এটিতে তিনি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সেতু, ঘরবাড়ি, নৌকা ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, ৫৫০ জন মানুষের চিত্র আলাদাভাবে খোদাই করা হয়েছে কাজটিতে।
এই মানুষদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের চিত্রই ফুটে উঠেছে শিল্পকর্মটিতে। তাদের কেউ কেউ পশুপালনে ব্যস্ত, কেউবা চলেছেন হাটের পথে। এভাবে চিত্রকর্মটির আদলেই প্রাচীন চীনের সভ্যতা-সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাপনের গল্প উঠে এসেছে ঝেংয়ের খোদাইয়ে।
সম্প্রতি গিনেজ ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডস ডে-এর অংশ হিসেবে ঝেংয়ের খোদাইকাজটিকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কাঠের উপর খোদাইকর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেজ কর্তৃপক্ষ।
একই দিনে গিনেজ কর্তৃপক্ষ আরও কিছু বিশ্বরেকর্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি মানুষের একসঙ্গে পেঙ্গুইন সেজে দাঁড়ানোর রেকর্ড। যুক্তরাজ্যের ৩২৫ জন মানুষ একসঙ্গে পেঙ্গুইন সেজে এই রেকর্ডটি গড়েন।
সবচেয়ে লম্বা বাস্কেটবল শটের রেকর্ডটিও স্বীকৃতি পেয়েছে একইদিনে। বাস্কেটবল খেলোয়ার কোরি ল ১০৯ ফিট ৯ ইঞ্চির শট নিয়ে এই রেকর্ড গড়েছেন। এগুলো ছাড়া আরও কয়েকটি রেকর্ড স্বীকৃত হয়।
ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: ichchheghuri24@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর