বন্ধুরা, বলতো আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রের নাম কী? হ্যাঁ ঠিকই বলেছো- সূর্য। তোমরা এও জানো সূর্যের আলো আছে।
একটা কাগজের টুকরোকে ছিঁড়তে ছিঁড়তে যদি এমন একটা জায়গায় চলে যায় যে আর ছেঁড়া যাচ্ছে না- তবে সেই সব থেকে ছোট্ট অংশটাকে বলি কাগজের অণু। এই অণুর মধ্যে কিন্তু কাগজের সব গুণ বর্তমান থাকে। আরও যদি ভাঙতে থাকি- তবে আর কাগজের কোনো গুণই থাকবে না- একে বলি পরমাণু।
জীব জগতের কথা ভাবলেই প্রথমে মনে পড়ে এর বৈচিত্র্যের কথা। কত ধরনের, কত রকমের জীব যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে উত্তরমেরুর হিমঠাণ্ডা থেকে সাহারার মরুভূমি, হিমালয় থেকে সমুদ্রের গভীরে- তার ইয়াত্তা নেই। প্রাণীদের বৈচিত্র্য শুধু কি চেহারায়? তাদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও দেখো- সাদা ভালুক থাকে বরফের দেশে, আবার তারই জাতভাই কালো ভালুকের কিন্তু জঙ্গলই পছন্দ। মরুভূমির প্রচ- গরম মানিয়ে নিচ্ছে ক্যাকটাস, উট, সাপ, বিছে প্রত্যেকেরই রয়েছে মানিয়ে নেওয়ার নিজস্ব পদ্ধতি।
যেমন- শিকার ধরার জন্য বাঘের আছে ধারালো নখ আর শক্তিশালী চোয়াল। ছোলার ছাল ছাড়িয়ে খাবে বলে টিয়ার ঠোঁট বাঁকানো। আর খুঁটে খুঁটে খাবে বলে চড়ুইয়ের ঠোঁট ছোট্ট আর তীক্ষ্ম। আরো ভাবো, কাকের ছানা দেখতে কাকের মতো। বেড়ালের ছানা মায়ের মতোই ম্যাও ম্যাও ডাকে। কেন ঠিক একই রকম? এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মের আকার-আকৃতি, আচার-ব্যবহার সমতা রক্ষা করে কী করে?
উপরে লেখা বিষয়গুলো নিশ্চয়ই তোমাদের ভাবিয়েছে। মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাই না বন্ধুরা? হ্যাঁ, এসব প্রশ্নের জাবাব পেতে গেলে তোমাদের একটি বই পড়তে হবে। বইটির নাম যখন সব অন্যরকম ছিল। তোমাদের জন্য বইটি লিখেছেন লেখক বন্ধু আংশুমান দাশ। লেখক এই বইটিতে মহাপৃথিবীর সৃষ্টি থেকে তার ক্রমবিকাশ এবং বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে মানুষের জন্ম থেকে সময়কালকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আর বিষয়গুলোর সঙ্গে মিলতাল করে ছবি এঁকেছেন লেখক নিজেই। আর বইটি ৪ রঙা প্রচ্ছদ এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু সব্যসাচী মিস্ত্রী। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার ধানমন্ডি মুক্তির উদ্যোগ-এর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রতীতি। ক্রাউন সাইজের ৩২ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য ৬০ (ষাট) টাকা। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো এই বইটি তোমরা পাবে তোমাদের আশপাশের বইয়ের দোকানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৪
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর