বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৮ম দিন শনিবার মেলার শুরু থেকেই শিশুদের কলতানে মুখর ছিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
সকালে মেলার শুরুতেই দেখা যায়, অভিভাবক, বড় ভাই-বোন বা কোনো আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে আসছে শিশুরা। এবার মেলার একটি অংশ সম্প্রসারিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেলেও বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চের সামনে স্টলগুলোতে শিশুদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। এসময় তাদের বিভিন্ন স্টল ঘুরে বই পছন্দ করে কিনতে দেখা যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার সকালে বাংলা একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা থাকায় শিশুদের উপস্থিতি বেশি ছিল। তবে শনিবার শিশু প্রহরে শিশুদের উপস্থিতি মোটামুটি হলেও আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় শিশুদের উপস্থিতি বাড়ছে।
রাজধানীর একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র নাবিল রহমান মেলায় বই কিনতে এসেছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে।
বাংলানিউজকে সে জানায়, মেলায় এসে তার খুব ভালো লাগছে। এবার সে ভূতের গল্পের বই কিনেছে।
মায়ের সঙ্গে বই কিনতে এসেছিল হুসাইন আরেফিন চৌধুরী অর্ক, ফাইজার মাহমুদ ও আহসান মাহমুদ। শিশু কর্নারে ছুটোছুটি করে বই দেখছিল তারা।
কেউ জাদুর বই, পাখির বই, খাবারের বই কিনেছে বলে বাংলানিউজকে জানায় তারা।
শিশু কর্নারে পিপিএমসি প্রকাশনীর নির্বাহী পরিচালক রোহানুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তারা মূলত শিশুদের বই বিক্রি করেন। মেলায় শিশুদের বইয়ের চাহিদাও বেশি। সকালে শিশু প্রহরে মেলায় শিশুদের উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল এবং বিক্রিও ভালো।
সন্ধ্যার পর মেলায় শিশুদের উপস্থিতি আরো বাড়বে বলেও আশা করছেন তিনি।
পাতাবাহার প্রকাশনীর প্রকাশক নাজিয়া মেহজাবিন বাংলানিউজকে জানান, শিশু প্রহরে শিশুদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বিক্রি ছিল মোটামুটি। এছাড়া এবার মেলা দুই অংশে হওয়ায় অনেকে এক জায়গায় ঘুরেই চলে যাচ্ছেন।
মেলার প্রথম শিশু প্রহরে শিশুদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও আগামী দুই শিশুপ্রহরে তাদের উপস্থিতি বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪