ঢাকা: সহিংস ভিডিও গেমস শিশুদের নৈতিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি সত্য-মিথ্যা নির্ধারণে দ্বিধাদ্বন্দের সৃষ্টি করে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০৯ জন ছেলে-মেয়ের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন তারা। গবেষণায় এসব শিশুদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কোন ধরনের গেমস খেলে, কতক্ষণ খেলে।
দেখা যায়, ৮৮ শতাংশ শিশুই ভিডিও গেমস খেলে। তাদের অধিকাংশই সহিংস ভিডিও গেমস খেলে মজা পায়। এসব সহিংস গেমসে হয়ত কাউকে মেরে ফেলা হচ্ছে, পঙ্গু বা মস্তিষ্কচ্ছেদ করা হচ্ছে কিংবা শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত চার স্তরে মানুষের মধ্যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সকে আবেগের বহিঃপ্রকাশের তৃতীয় স্তর হিসেবে উল্লেখ করেছেন গবেষকেরা।
কিন্তু সহিংস ভিডিও গেমসে আশক্ত শিশুদের এ আবেগ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। গেমস খেলে না এমন শিশুদের চেয়ে অনেক দেরিতে তাদের আবেগ বিকাশ ঘটে।
গবেষণায় দেখা যায়, সহিংস ভিডিও গেমসে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় শিশুরা অন্যকে বিশ্বাস করতে চায়না এবং গেমস বিশ্বের আলোকে বাস্তব বিশ্বকে মূল্যায়ন করে। বাস্তব জগতের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আরও বলা হয়, যে সব শিশু দিনে তিন ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ভিডিও গেমস খেলে পার করে তাদের মধ্যে মায়া-মমতা বা সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ দেরিতে ঘটে।
গবেষক মিরজানা বাজোভিক বলেন, যে সব শিশু দিনে তিন ঘণ্টা বা তার বেশি সময় সহিংস ভিডিও গেমস খেলে থাকে তারা আশপাশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে অগোচেরেই নিজেদের সরিয়ে রাখে, যা তাদের সত্য-মিথ্যা নির্ধারণে ব্যাঘাত ঘটায়।
শিশুদের ভিডিও গেমস পরিহার করে দাতব্যমূলকে কাজে যুক্ত করার জন্য বাবা-মা ও শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকেরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪