অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর সেই ত্যাগের কথা, ’৭১ এর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কথা এ দেশের মানুষ কখনোই ভুলবে না।
আরো অনেক শিল্পের মতোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা বারবার উঠে এসেছে এ দেশের ভাস্কর্যশিল্পে। সারা দেশে নানা ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে। তেমনই একটি ভাস্কর্য ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সড়কদ্বীপে অবস্থিত এই ভাস্কর্যটি। ভাস্কর্যের এক পাশে একজন কৃষক রয়েছেন, মাঝখানে অস্ত্রধারী নারী ও পুরুষ যোদ্ধা। অন্যপাশে আরো দুই মুক্তিযোদ্ধা। বিজয়ী বেশে তারা ছুটে চলেছেন। ভাস্কর্যের বেদীর চারপাশে ৪ ফুট উঁচু দেয়ালচিত্র রয়েছে। দেয়ালচিত্রে স্থান পেয়েছে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের নানা দিক। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বুদ্ধিজীবী নিধন, নারী নির্যাতনের মতো বর্বর দিক ছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের ছবি, রয়েছে পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের ছবি।
‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন ভাস্কর শামীম শিকদার। তাকে সহযোগিতা করেছেন হিমাংশু রায় ও আনোয়ার চৌধুরী। ১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০১৪