মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বাংলাদেশে বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে। ‘সংশপ্তক’ তেমনই একটি ভাস্কর্য।
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটির ভাস্কর শিল্পী হামিদুজ্জামান খান। ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থিত। ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। এটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন জাবির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহম্মেদ।
শিল্পী হামিদুজ্জামান খান ভাস্কর্যটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্রোঞ্জের শরীরে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও চেতনাকে এতে দৃশ্যমান করা হয়েছে।
ভাস্কর্যে এক হাত ও এক পা হারানো একজন মুক্তিযোদ্ধা রাইফেল উঁচু করে এগিয়ে চলেছেন। ভাস্কর্যটি মূলত ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি। এছাড়া লাল ইটও ব্যবহার করা হয়েছে এটির নির্মাণকাজে।
সংশপ্তক-এ দৃশ্যমান মুক্তিযোদ্ধাকে বীর বাঙালির সাহস ও দেশপ্রেমের প্রতীক বলা চলে। ১৯৭১ সালে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শত্রুর গুলিতে হাত-পা হারিয়েও শেষ শক্তি দিয়ে লড়াই করেছেন দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য। দেশকে ভালোবেসে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা। প্রাণপণ যুদ্ধ করে অপরাজিত থাকা ধ্রুপদী যোদ্ধাদের নাম সংশপ্তক। একাত্তরের মুক্তিপাগল নির্ভীক যোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে সংশপ্তক ভাস্কর্যটি। মুক্তিযোদ্ধাদের দৃঢ় মনোবল প্রতিফলিত হয়েছে এতে।
সংশপ্তক-এর মতো মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে নির্মিত আরো অনেক ভাস্কর্য রয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। তবে দ্বিধাহীনভাবে বলা যায় সংশপ্তক তাদের মধ্যে অনবদ্য একটি ভাস্কর্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৪