তুমি কী বই পড়তে পছন্দ কর? বই পড়া কিন্তু খুব ভালো অভ্যেস। আর তোমাদের উপযোগী বই কিন্তু একেবারে কম নেই।
বিশ্ব বই দিবস ২০১৪ উপলক্ষে শিশুদের জন্য লেখা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বইগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দ্যা টেলিগ্রাফ। ২ এপ্রিল আন্তর্জাতিক শিশুতোষ বই দিবস। সেজন্য আজকে তোমাদের পরিচয় করিয়ে দেব টেলিগ্রাফের তালিকায় স্থান পাওয়া বইগুলোর সঙ্গে।
ওয়াটারশিপ ডাউন
ওয়াটারশিপ ডাউন বইটির লেখক রিচার্ড অ্যাডামস। এটি একটি উপন্যাস। উপন্যাসের কাহিনী খরগোশদের জগত নিয়ে। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে।
দ্যা হবিট
বইটির লেখক জে আর আর টোকিয়েন। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৭ সালে।
দ্যা লায়ন, দ্যা উইচ অ্যান্ড দ্যা ওয়ারড্রোব
সি এস লুইসের লেখা বই এটি। জাদুর রাজ্য নার্নিয়া ও সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে চার ভাইবোনের পরিচয় ও তাদের বাঁচানোর জন্য তুষার-রানির বিরুদ্ধে লড়াই করার দারুণ কাহিনী নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি।
শার্লট’স ওয়েব
ই বি হোয়াইটের লেখা বই ‘শার্লট’স ওয়েব। ’ বইটি শার্লট নামের মাকড়শার সঙ্গে উইলবার নামের একটি শূকরের বন্ধুত্ব নিয়ে লেখা। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫২ সালে।
দ্যা লিটল প্রিন্স
এ বইয়ের লেখক অ্যান্টনি ডি সেইন্ট এক্সুপেরি। বইয়ের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এক ছোট্ট রাজপুত্রকে ঘিরে, যে অন্য এক গ্রহ থেকে এসেছে পৃথিবীতে। তার মুখে বিভিন্ন গ্রহের বাসিন্দাদের গল্প শোনেন লেখক। তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ভিনগ্রহের ছোট রাজপুত্রের। ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে বইটি।
পিপি লংস্টকিং
অ্যাস্ট্রিড লিন্ডগ্রেনের লেখা বই ‘পিপি লংস্টকিং। ’ বাবা-মা হারা একটি মেয়ের গল্প এটি। মেয়েটির বন্ধু শুধু একটি বানর এবং একটি ঘোড়া। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৪৫ সালে।
এমিল অ্যান্ড দ্যা ডিটেকটিভস
বইটির লেখক এরিক ক্যাস্টনার। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯২৯ সালে। এমিলের মায়ের কষ্টার্জিত অর্থ চুরি হয়ে গেছে। আর তা উদ্ধার করতে নেমেছে এমিল এবং কয়েকজন শিশুর ক্ষুদে গোয়েন্দাবাহিনী। এরকম একটি ঘটনা নিয়েই এগিয়ে গেছে ‘এমিল অ্যান্ড দ্যা ডিটেকটিভস’ বইয়ের গল্প।
জেমস অ্যান্ড দ্যা জায়ান্ট পিচ
রোল্ড ডালের লেখা বই এটি। প্রকাশিত হয়েছে ১৯৬১ সালে। বাবা-মাকে হারানো জেমসের একটা দৈত্যাকৃতির পীচফলের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে লেখা এ বইটি।
উইনি দ্যা পুহ
এই বইটি লিখেছেন এ এ মাইন। ভালুকছানা পুহ এবং তার বন্ধুদের নিয়ে লেখা গল্প। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৬ সালে।
আ লিটল প্রিন্সেস
ফ্রান্সিস হজসন বার্নেটের লেখা বই এটি। সারা নামের এক বুদ্ধিমতি লক্ষ্মী মেয়ের গল্প। ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বইটি।
দ্যা জাস্ট সো স্টোরিজ
রুডইয়ার্ড কিপলিং লিখেছেন এ বইটি। চিতাবাঘের গায়ে ফুটকি এল কীভাবে? হাতির শুঁড় এত লম্বা কেন? এমনই সব মজার প্রশ্নের মজার উত্তর নিয়ে লেখা হয়েছে ‘দ্যা জাস্ট সো স্টোরিজ’। প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০২ সালে।
আ জার্নি টু দ্যা সেন্টার অব দ্যা আর্থ
জুল ভার্নের লেখা বই এটি। বইটি প্রফেসর হারজোগ, তার ভাতিজা হ্যারি এবং একজন গাইডের পৃথিবীর অভ্যন্তরে যাত্রার রোমাঞ্চকর কাহিনী নিয়ে লেখা। ১৮৬৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে বইটি।
দ্যা উইন্ড ইন দ্যা উইলোজ
ছুঁচো, মূষিক, ভোঁদর, উদবিড়াল- ওরা সবাই বাস করে উইলো বনের ধারে। সবাই খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু ওদের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখে ব্যাঙ। আর তারপর সে পড়ে ভয়ংকর বিপদে, যখন তার পাশে এসে দাঁড়ায় এই বন্ধুরা। কেনেথ গ্রাহামের লেখা এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯০৮ সালে।
দ্যা ডল পিপল
অ্যান এম মার্টিন এবং লারা গডউইনের লেখা বই এটি। পুতুলের ঘরে রাখা পুতুলগুলো মাঝরাতে জেগে ওঠে। তাদের নিজেদেরও আছে এক অন্যরকম জগত। সেই জগতের সঙ্গেই লেখকদ্বয় পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এই বইয়ে। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০০০ সালে।
দ্যা চাইল্ড দ্যাট বুকস বিল্ট
এ বইটি লিখেছেন ফ্রান্সিস স্পাফোর্ড। বইটি ঠিক শিশুদের জন্য লেখা না হলেও শিশুদের কাছেও বইটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটি প্রকাশিত হয়েছে ২০০২ সালে।
এ বইগুলো ছাড়াও দ্যা টেলিগ্রাফের করা তালিকায় থাকা অন্যান্য বইগুলো হচ্ছে টি এইচ হোয়াইটের লেখা দ্যা সোর্ড ইন দ্যা স্টোন, ফ্রান্সিস হজসন বার্নেটের লেখা দ্যা সিক্রেট গার্ডেন, ক্লাইভ কিং-এর লেখা স্টিগ অব দ্যা ডাম্প, জোহানা স্পাইরির লেখা হেইডি, জে কে রাওলিং- এর হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্যা ফিলোসফার্স স্টোন, টেড হাগেস-এর হাও দ্যা হোয়েল বিকেইম, মার্গারি উইলিয়ামসের দ্যা ভেলভেটিন র্যাবিট, নর্টন জাস্টারের লেখা দ্যা ফ্যান্টম টোলবুথ, ডেভ শেল্টনের লেখা আ বয় অ্যান্ড আ বিয়ার ইন আ বোট এবং এলিজাবেথ গজের লেখা দ্যা লিটল হোয়াইট হর্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৪