অদ্ভুত এক দেশ
অবিরাম যেথা ঘটনার ঘটা চেতনার উন্মেষ,
এই মুহূর্তে অধো ও ঊর্ধ্বে বৃষ্টির ধারা বহে;
পরক্ষণে তা রুদ্র আবার দূরন্ত তাপদাহে।
আজ দিনভর বারি ঝর ঝর বরিষণে থই থই
কাল ঠিক ভোরে সোনা রোদ ঝরে সাজে অপরূপ সই,
আজ এই ক্ষণে প্রতি জনে জনে ঝগড়া বিবাদে মাতি;
পরক্ষণে তার দোস্তি আবার ভালবাসা প্রেম প্রীতি।
থেমে থেমে মোরা দেশপ্রেমে হই বিগলিত আপ্লুত
সেই আমরাই কষে কামড়াই দেশটাকে মারি জুতো,
বাংলাকে বলি ভালবাসি মোরা ভালবাসি এই ভাষা;
তবু মাঝেমাঝে এই আজেবাজে দেশ নিয়ে খেলি পাশা।
ভাষার জন্যে ভীষণ হন্যে বুকের রক্ত ঢেলে
বাংলা আমার বামন চামার প্রতিবাদী হয় জেলে,
রফিক শফিক বরকত আজ হরকতে ইতিহাসে;
তবুও বাংলা অথৈ নাংলা বিদেশি জোয়ারে ভাসে।
সংস্কৃতির সাম্পানে চড়ে ইংলিশ ভিংলিশ
বাংলা ভাষার মাথায় চড়িয়া ফুর্তিতে দ্যায় শিস,
একাত্তুরের একটি ভোরের যুদ্ধ ভয়াল স্মৃতি;
কেউকি ভুলেছে চেতনার ঢেউ দেশপ্রেম দেশপ্রীতি?
অথচ এখন দিয়ে মান প্রাণ বর্গীর সাথে বাস;
বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়ে শত্রুরা ফেলে শ্বাস!
দূষণ
বাংলারে তোর কি আছে আর বাকী?
গ্যাস বিদ্যুৎ পানির পরে আবার দিলি ফাঁকি?
বাংলারে তোর আকাশে;
কি নাকি সব ভাসছে শুনি, দেখায় নাকি ফ্যাকাশে?
কি নাম যেন বলছিল!
শিশার মতো কিসের যেন, নীরিক্ষা সব চলছিল?
ওজোন মেপে ভীষণ ক্ষেপে বিজ্ঞানীরা শেষে;
দূষণ নামের ভূষণ তোরই কপালে দেয় ঠেসে!
বাতাস যে তোর দূষিত?
সবুজ শ্যামল বাংলা মা তুই, কলঙ্কে আজ ভূষিত?
এই কালিমার দায়টা নেবে কে?
বাংলা মাগো, দিব্বি দিলাম, নামটা বলে দে!
বলবি না তুই? ঠিক আছে মা, বিজ্ঞানীকে ডেকে;
বাংলাদেশের শত্রুকে আজ নিচ্ছি তবে দেখে!
কি বল্লি মা? রাজনীতিবিদ? দূর সেটা কি হয়?
তারা তো সব সেবক মোদের, চাইবে কেন ক্ষয়?
ব্যবসা করে? মানুষ নিয়ে? নারে মা তা হয় না!
সন্তানে তোর নাচবে বুকে? এমন কথা কয় না!
আচ্ছা মাগো বল তো দেখি তোর নাকি কোন শহরে?
আকাশ ভরা মৃত্যু জ্বরা, পূর্ণ নাকি কহরে?
বাতাস নাকি বিষ ছড়ায়ে হিংস্রভাবে ক্ষেপেছে?
এই কথাটি বিশ্বসভায় বিজ্ঞানীরা ছেপেছে?
ঢাকায় নাকি টাকার দাপট সবার নাকি আছে?
দিস না কেনো ঘুষ পাঠিয়ে দূষণ মিয়ার কাছে?
গাজীপুরের গাছগুলো সব করছে নাকি কান্না?
বলছে নাকি দূষণ থামাও সইতে পারি আন্না?
ড্যান্ডি খ্যাত এন গঞ্জের কি হয়েছে বলো না?
বিখ্যাত সব শহর নিয়ে করছে কারা ছলনা?
ভাল্লাগে না মাগো;
বাংলা মাকে বাঁচাতে আজ বাঙালিরা জাগো।
ওয়াশিংটন ১৪ই মে ২০১৪