ধ্যুৎতারি ছাই ছুটির দিনে ভাল্লাগে না কিছু
সকাল থেকেই মামনিটা নেয় যে শুধু পিছু।
উপচে পড়ে প্রাতরাশে দুধ- রুটি আর কলা
গিলতে গেলেই বিষম যে খাই, ধরে আসে গলা।
খাবার শেষে পড়তে বসা, চেঁচিয়ে পড়া চাই
উচ্চারণে ভুল হবে যে, মায়ের হুকুম তাই।
চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে শুকোয় গলা, ভিজিয়ে নিই জলে
এভাবে কি ছুটির দিনে পড়ালেখা চলে?
দুপুরমণি ফোটে যখন, মাথার উপর সূর্য
‘বেলা হলো অনেক এখন, গোসল সারো তূর্য’।
ভাল্লাগে না ভেজাতে গা দাঁড়িয়ে ঝর্নাতলে
ইচ্ছে আমার সাঁতরে বেড়াই তাল পুকুরের জলে।
গোসল সেরে খেতে বসা, কোর্মা-পোলাও-কৈ
খাবার শেষে মিষ্টি হরেক, ঘরে তোলা দৈ।
‘ঘুমিয়ে পড়ো যাও এখনি, লক্ষ্মী সোনা বাবা’
উদাস দুপুর ঘুম কেড়ে নেয়, বাড়িয়ে দেয় থাবা।
মন ছুটে যায় দূর আকাশে রঙিন ঘুড়ির পানে
চোখ ঠেলে যে কান্না আসে বাউল সুরের তানে।
বিকেল হলেই মাঠ জুড়ে সব খোকা-খুকুর মেলা
লোহার শিকে ঠুকে মাথা কাটিয়ে দিই বেলা।
সন্ধ্যা হলেই হাই ওঠে আর, চোখে নামে ঘুম
সপাং সপাং বেতটি যে মার দেয় শরীরে চুম।
ব্যথায় ব্যথায় কঁকিয়ে উঠি, কেঁদে বলি, ‘মা,
ছুটির দিনে এসব কেন? ভালো লাগে না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৪