শুরু হয়ে গেছে ফুটবল বিশ্বকাপের ২০তম আসর। সারা বিশ্বে চলছে বিশ্বকাপের উন্মাদনা।
আচ্ছা, বলতে পারো, মেসি-নেইমাররা যে বলটা দিয়ে সুন্দর সব গোল দিয়ে দেশকে জেতাচ্ছেন, সেটার নাম কী?
জানি অনেকেই পারবে। যদি কেউ নাও পারো, তাতেও অসুবিধা নেই। বলটার নাম ব্রাজুকা। এটা ২০১৪ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল।
অ্যাডিডাসের তৈরি বল ব্রাজুকা। এটি অ্যাডিডাস ট্যাঙ্গো ১২ সিরিজের উন্নত সংস্করণ। বলটিতে একই ধরনের ব্ল্যাডার ও আবরণ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বাইরের আবরণ ভিন্ন। বলটির ওজন ৪৩৭ গ্রাম। এটিতে সাদার উপরে কয়েকটি রঙের ব্যবহার রয়েছে।
ব্রাজুকা বলটা কিন্তু একটা ইতিহাস তৈরি করেছে। এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনো বলের নাম রাখা হয়েছে ভোটের মাধ্যমে। ফিফা অবশ্য প্রাথমিক কিছু নামের একটি তালিকা তৈরি করেছিল। সেখানে ব্রাজিলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে ব্রাজুকা, কার্নাভালেস্কা ও বোসা নোভা- এই তিনটি নাম ছিল। ২০১২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বলের নামকরণের বিষয়টি জানানো হয়। এজন্য সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
দশ লক্ষেরও বেশি ফুটবল সমর্থক এতে অংশ নেন। এদের মধ্যে ৭৭.৮ শতাংশ ভোট দেন ব্রাজুকা নামটির পক্ষে। বোসা নোভা ১৪.৬ শতাংশ ও কার্নাভালেস্কা ৭.৬ শতাংশ ভোট পায়।
এভাবেই এবারের বিশ্বকাপের চমৎকার বলটির নামকরণ হয় ব্রাজুকা।
‘ব্রাজুকা’ ব্রাজিলের একটি অপ্রচলিত পরিভাষা। এর অর্থ মূলত ব্রাজিলিয়ান। আরো সুন্দর করে বলতে গেলে ব্রাজিলিয়ানদের জীবনধারা।
ব্রাজুকা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম হয় নি। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের বল জাবুলানি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন খেলোয়াড়েরা। তাই অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই ব্রাজুকা তৈরি হয়েছে। তারপর অনেকবার এটি নিয়ে বিভিন্ন ক্লাব ও দেশগুলো খেলার পর এটিকে বিশ্বকাপের বল হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এখন সব দলের বিশ্বকাপ জয়ের রঙিন স্বপ্ন এই ব্রাজুকা নামক রঙিন চর্মগোলকটিতেই বোনা। ব্রাজুকার সঠিক ও সাবলীল ব্যবহারই নির্ধারণ করবে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন।
আরও একটি মজার বিষয় হলো ব্রাজুকার মধ্যে রয়েছে ছোট ছয়টি ক্যামেরা বসানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৪