ব্রাজিল বিশ্বকাপ মাতাচ্ছে ছোট বড় মোট ১২টি স্টেডিয়াম। এর একেকটির সৌন্দর্য, দর্শক ধারণক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা একেকরকম।
কর্কট রেখার কাছাকাছি আটলান্টিক তীরবর্তী সমুদ্র সমতলে অবস্থিত স্টেডিয়ামটির অফিসিয়াল হিসাব অনুযায়ী ফাইনাল ম্যাচে দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৭৩ হাজার থেকে ২ দুই লাখ পর্যন্ত। এটি প্রথম স্থাপিত হয় ১৯৫০ সালে। নতুন করে সাজানোর কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালের জুন মাসে।
অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের পাশাপাশি এখানেই অনুষ্ঠিত হবে চলতি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। পুরো বছরের মধ্যে জুন ও জুলাই- এ দু’টি মাসকেই ধরা হয় সবচেয়ে শীতল সময় হিসেবে। প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া। প্রতিদিনের গড় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
ঘড়িতে সময় গ্রিনিচ মিন টাইমের তিন ঘণ্টা পিছিয়ে। গত গ্রীষ্মে কনফেডারেশন কাপ শুরুর মাত্র কিছু আগে শেষ হয় এটির নির্মাণকাজ। বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য ব্রাজিলকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি প্রদানের তিন বছর পর স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ আরম্ভ হয় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে কিছুটা দেরি হয়ে যায় কাজ শুরু করতে।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি কুলিয়ে উঠতে লেগে যায় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। নির্মাণকাজে অংশ নেয় প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ নতুন করে উদ্বোধন হয় ‘রোনালদোর বন্ধুরা’ বনাম ‘বেবেতোর বন্ধুরা’ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে।
** পোর্টো অ্যালেগ্রের এস্তাডিও বেইরা রিও
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪