কাগজের নৌকা আমাদের খুব পরিচিত একটি জিনিস। স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে বা অবসর সময়ে ফেলে দেওয়া খাতার পাতা বা নানা রঙের কাগজ দিয়ে আমরা প্রায়ই সুন্দর সব নৌকা বানাই।
এগুলো দেখতেও খুব মিষ্টি। এই যে কাগজ না কেটে, কাগজে আঠা বা অন্যকিছুর ব্যবহার ছাড়া শুধু ভাঁজ করে কোনো কিছু বানানো- একে বলা হয় ওরিগামি।
ওরিগামির উৎপত্তি জাপানে। ওরি শব্দের অর্থ ভাঁজ এবং কামি শব্দের অর্থ কাগজ। কামি শব্দটা অবশ্য গামি উচ্চারিত হয়। সুতরাং, ওরিগামি শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ভাঁজ করা কাগজ। কাগজ ভাঁজ করার শিল্প বলেই এটার এ নাম দেওয়া হয়েছে।
জাপানিদের প্রিয় একটা শিল্প ওরিগামি। ঠিক কবে থেকে এ শিল্পের প্রচলন হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে জাপানের বাইরে অরিগামি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।
সবচেয়ে মজার কথা হলো, আমরা যদিও নৌকা, প্লেনসহ কয়েকটা জিনিস বানাই কাগজ দিয়ে, জাপানিদের মতে কাগজ ভাঁজ করে নাকি পৃথিবীর সব জিনিসই বানানো সম্ভব!
ওরিগামি যদিও প্রায় সব ধরনের কাগজ দিয়েই করা যায়, তবুও ওরিগামি করার জন্য বিশেষ কাগজ রয়েছে। এই কাগজকে ওরিগামি পেপার বলা হয়। এটির এক দিক রঙিন ও অন্য দিক সাদা থাকে। শুধু একরঙা নয়, ওরিগামি পেপারে বিভিন্ন রকম নকশাও থাকে। কিছু ওরিগামি পেপারের দুই দিকই রঙিন থাকে। বর্গাকারের এসব কাগজ বিভিন্ন সাইজের হয়।
ওরিগামি বিভিন্ন রকমের হয়। এটি জাপানের ঐতিহ্যবাহী শিল্প। জাপানের বিভিন্ন স্কুলেও ওরিগামি শেখানো হয়। তোমরাও কিন্তু ওরিগামি শিখতে পারো। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছবি এবং ভিডিওসহ নানা রকম ওরিগামির কৌশল শেখানো হয়। ঘরে বসে খুব সহজেই তাই তোমরা ওরিগামি শিখে তাক লাগিয়ে দিতে পারো অন্যদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৪