ঢাকা: ভারতীয় বালক আকরিত জাসওয়াল বিশ্বের সবচেয়ে তীক্ষ্ণধী বা চটপটে শিশু হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া শিশুটি সাত বছর বয়সেই নিজেকে শল্যচিকিৎসাবিদ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
২০০০ সালে আকরিত যখন তার বাড়িতে বসে অস্ত্রোপচার করে দেখায়, তখনই প্রথম সবার নজরে আসে। এ খবর পেয়ে মার্কিন টিভি তারকা অপরাহ উইনফ্রে আকরিতকে তার অনুষ্ঠানে অতিথি করেন।
স্থানীয় এক ৮ বছর বয়সী মেয়েশিশুর হাত পুড়ে গলে গিয়ে তার আঙ্গুলগুলো পরস্পরের সঙ্গে লেগে যায়। সে তার আঙ্গুলগুলো খুলতে পারছিল না। মেয়েটির বাবা-মায়েরও সামর্থ্য ছিল না তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার। এতে আকরিত এগিয়ে আসে। চিকিৎসাবিদ্যার কোনো আনুষ্ঠানিক পাঠ না থাকার পরও আকরিত মেয়েটির আঙ্গুলগুলো আলগা করার ব্যবস্থা করে। এরপর মেয়েটি তার আঙ্গুলগুলো আগের মতোই স্বছন্দে ব্যবহার করতে শুরু করে।
আকরিতের মা রক্ষা কুমারি জাসওয়াল বলেন, সে অনেক কিছুই আগেভাগে শুরু করেছে। জন্মের পর হামাগুড়ি না দিয়ে সে হাঁটা শুরু করে। ১০ মাস বয়সে কথা বলা শুরু করে। মা বলেন, ৫ বছর বয়সে শেকসপিয়ার আবৃত্তি করতে পারত আকরিত। শৈশব থেকেই শল্যচিকিৎসাবিদ্যায় তার আগ্রহ অপরিসীম। ৬ বছর বয়স থেকে সে পেশাদার ডাক্তারদের অস্ত্রোপচার পর্যবেক্ষণ করত। মাত্র ১২ বছর বয়সে আকরিত দাবি করে, সে ক্যান্সারের চিকিৎসা আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে।
বিস্ময়কর প্রতিভার এ বালকটি এখন পাঞ্জাবের চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সেই ভারতীয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে কম বয়সী ছাত্র। আশা, একদিন সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে।