বস্তি শব্দটা শুনলেই বুঝা যায় এর ভেতরের অবস্থা। জড়াজীর্ণ ঘর বাড়ি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নেই শিক্ষার আলো।
রাজধানীর কারওয়ার বাজারে রেল লাইনের দু’পাশ ধরে গড়ে ওঠেছে শত শত বস্তি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুকিপূর্ণ ভাবে এখানে বেড়ে ওঠেছে হাজারো শিশু।
বস্তিতে ঢুকে নাক চেঁপে ধরা ছাড়া কোন উপায় নেই, ছোট ছোট ঘর, ঘরের ভিতর ঢোকার জোঁ নেই। ভেতরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নেই স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
হাজারো শিশুর মধ্যে দুলাল একজন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। দুলালের মা গোলেছা বেগম (২৮) দুলালের বয়স ১১ বছর জানালেও দেখে মনে হয় আট কিংবা নয় বছর।
স্কুলে যাও? জিজ্ঞাসা করতেই অকপটে বলে ফেলে..........
না।
স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না?
চুপ করে থাকে দুলাল, কোন কথা বলে না।
দুলালের বড় বোন মরিয়াম। বয়স মাত্র পনের বছর, কোলে ছোট্ট শিশু।
জিজ্ঞেস করলে বলে ,
বিয়ে হয়েছে এক বছর হলো। প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পেরোনো হয়নি মরিয়মের।
ঝর্ণার বয়স আট বছর। মা কাঞ্চন (২০), বাবা জনাব আলী (২১)। তিন ভাই বোনের মধ্যে ঝর্ণাই বড়।
তুমি স্কুলে যাও? উত্তরে ঝর্না বলে...
না, লেখাপড়া আমার ভালো লাগে না।
লেখাপড়া না করলেও খুব শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে ঝর্ণা।
তাহলে কি করতে ভালো লাগে?
সারাদিন ঘুড়ে বেড়াতে ভালো লাগে।
বস্তির বসিন্দা আমিনুল (৩০) জানান, ‘এই হানে পেরাই হাজার খানেক পোলাপান হবে। যারা কোন কাম করে না। হারাদিন ঘুরে বেড়ায় আর অক্কাম করে, নেশা করে। ’
দুলাল, মরিয়াম, সজিব, ঝর্ণাদের মত এখানকার অসংখ্য শিশুরা যেন ভবিষ্যত শব্দটার সঙ্গে অপরিচিত। জীবন নিয়ে তাদের অভিভাবকদের যেন কোন ভাবনাই নেই।
কারওয়ান বাজারের এই রেল বস্তিতে ‘কারওয়ান বাজার রেলওয়ে বস্তি শিক্ষা কর্মসূচি’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নেই শিক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। একটি ব্ল্যাক বোর্ড আর মেঝেতে চট বিছানো ছাড়া কিছুর দেখা মেলেনি এই স্কুলে।
মুদি দোকানি আব্দুল খালেক (৪৫) জানান, ‘স্কুলে তেমন পোলাপাইন আসে না। ‘