ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

একাত্তরের বন্ধু ভারত

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪
একাত্তরের বন্ধু ভারত

১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বিদেশি বন্ধুরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সফল করার জন্য সেসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বেশকিছু দেশ।

এ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা আমরা পেয়েছি ভারতের কাছ থেকে। প্রতিবেশি এ দেশটি ছিল একাত্তরে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।  

একাত্তরে ভারতের সহযোগিতার কথা আমাদের সবার জানা। ভারত এদেশের অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়। ভারত সেসব মানুষের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার ভার বহন করেছিল। সেসময় ভারতে বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য ‘রিফিউজি ট্যাক্স’ বা শরণার্থী কর বলে এক ধরনের করের প্রচলন করা হয়েছিল।

এছাড়া ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, কর্মকর্তা, মন্ত্রীসহ আরও অনেকে বাংলাদেশের প্রতি সেসব দেশের সমর্থন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ সফর করেন। ভারতের অসংখ্য সেনা সদস্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং তাদের অনেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দেন।

নভেম্বরের মাঝামাঝি ভারত ও বাংলাদেশের যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত হয় যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বেই ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান স্বাধীন হতে শুরু করে। সবশেষে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হলেও, ভারত কিন্তু বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ৬ ডিসেম্বর।

এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। এখনো কিন্তু বাংলাদেশ আর ভারতের সেই বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।