মিকু ক্লাস সিক্সে পড়ে। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ।
পরের দিন মিকুরা সপরিবারে নানা বাড়ি রওনা দিল। মিকুর আর তর সইছে না, নানা বাড়ি নেমেই আবিদ আর রাতুলের খোঁজে চলে গেল। আবিদ আর রাতুল পুকুরে গোসল করছিল। রাতুলের চোখ হঠাৎ মিকুর ওপর পরল, প্রথমে চিনতে পারল না, কিছুক্ষণ চোখ পিট পিট করে আবার তাকালো, এইবার চিনতে পারলো তারপর পুকুর থেকে ওঠে মিকুকে জড়িয়ে ধরলো। রাতুল বলল, দোস্ত তুমি কোথা থেকে আসলা । তিন বন্ধু মিলে কোলাকুলি করল। দুর থেকে তাদের দেখে মনে হলো, তিনজনই এই মাত্র পুকুর থেকে ওঠে এলো।
বিকাল বেলা তিন বন্ধু মিলে পুকুর পাড়ে আড্ডা দিচ্ছে। আবিদ বলল, দোস্তরা অনেক দিন মিশনে যাই না। চল আজ রাতে মিকুর সৌজন্যে একটা মিশনে বের হই। রাতুল বলল, তা যাওয়া যায়! কিন্তু কিসের মিশনে বের হবি। আবিদ বলল, মজিদ চাচার বাগানে। মিকু বলল, বাপরে ! মজিদ চাচা মারাত্বক লোক, জানতে পারলে খবর আছে।
রাতুল বলল, জানতে পারলে তো।
মিকু বলল, ঠিক আছে। কিন্তু যাবো কখন ।
আবিদ বলল, রাত বারটায় ।
রাত বারটা!
মজিদ চাচার বাগানে চুপি চুপি ঢুকছে তিন বন্ধু ।
রাতুল বলল, কোন গাছে উঠবি ।
আবিদ বলল, মাঝেরটাই। ওই গাছের ডাব খুব মিষ্টি।
রাতুল বলল, ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি করিস ।
রাতুল আর মিকু পাহারা দিতে লাগল আর আবিদ তর তর করে গাছে উঠতে লাগল ।
কিছুক্ষণ পর পাঁচটা ডাব নিয়ে আবিদ নিচে নামলো।
মিকু বলল, খাবি কোথায়।
রাতুল বলল, এখানেই খাই। তাড়াতাড়ি কাট, আমার আর তর সইছে না ।
তিন বন্ধু ডাব খেয়ে যার যার মত চলে গেল।
সকাল বেলা মিকু আর রাতুল পুকুর পাড়ে বসে আছে। এমন সময় হাসতে হাসতে আবিদের আগমন।
মিকু বলল, কিরে হাসছিস কেন?
আবিদ বলল, কালকের ডাব চুরি জানা জানি হয়ে গেছে। মজিদ চাচা তো সেই ক্ষ্যাপা ।
রাতুল বলল, বলিস কি !
আবিদ বলল, চুরির দায় কার ওপর পড়েছে জানিস ?
মিকু আর রাতুল এক সঙ্গে বলল, কার ওপর ?
মনু পাগলের উপর।
রাতুল বলল, আহারে বেচারা !
তারপর তিনজনই হো-হো করে হেসে উঠল।