লেখা থেকে আঁকা, কোনো কিছু তৈরি করাসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন আমাদের প্রয়োজন হয় কাগজ। কাগজ দিয়ে নানারকম শিল্প হয়।
কুইলিংয়ের মাধ্যমে কার্ড, গয়না, শো-পিস ইত্যাদি তৈরি করা হয়। কাগজকে নির্দিষ্ট মাপে কেটে, আঠা দিয়ে জুড়ে করা হয় পেপার কুইলিং। সাধারণত এ কাজে রঙিন, লম্বা, মজবুত ও চিকন কাগজের টুকরো ব্যবহৃত হয়।
এই কাগজগুলোকে প্রয়োজনমতো ভাঁজ করে, নকশা তৈরি করে আঠা দিয়ে জুড়ে কোনোকিছুর আকৃতি দেওয়া হয়। এভাবে শুভেচ্ছা কার্ডের উপরে ফুল, পাখি ইত্যাদির চমৎকার সব নকশা তৈরি করা যায়। বর্তমানে পেপার কুইলিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
রেনেসাঁ যুগে ফ্রেঞ্চ ও ইটালিয়ানরা কুইলিংয়ের মাধ্যমে ধর্মীয় ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের প্রচ্ছদের নকশা করত। ১৮ শতকে কুইলিং ইউরোপের নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে এই শিল্প।
কুইলিং বর্তমানে একটি আকর্ষণীয় শিল্পে পরিণত হয়েছে। গয়নার বাক্স থেকে শুরু করে কানের দুল- সবই তৈরি করা সম্ভব কুইলিংয়ের মাধ্যমে।
যেকোনো ধরনের মজবুত কাগজ মাপমতো কেটে নিয়ে পেপার কুইলিং করা সম্ভব। তবে কুইলিংয়ের জন্য বিশেষ ধরনের কাগজ পাওয়া যায়। অনেক রঙের, ধরনের, আকার-আকৃতির কুইলিং পেপার রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করা হয়।
পেপার কুইলিং একটি সৃষ্টিশীল ও মজার শিল্প। তাই হাতের কাছে শক্ত কাগজ থাকলে অবসরে তুমিও চেষ্টা করে দেখতে পারো ছোটখাটো পেপার কুইলিং।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫