পানির নিচ দিয়ে কি গাড়ি চলতে পারে? এমন প্রশ্ন করলে তোমার উত্তরটা নিশ্চয়ই ‘না’ হবে। কিন্তু তোমার উত্তরটা ভুল।
অবাক হচ্ছো? বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পানির নিচে তৈরি করা হয়েছে টানেল, যেসব টানেল দিয়ে বহাল তবিয়তে গাড়ি-ট্রেন সবই চলছে। এসব টানেলকে বলা হয় আন্ডারওয়াটার টানেল।
আন্ডারওয়াটার টানেল কিন্তু কোনো নতুন ধারণা নয়। অনেক আগেই মানুষ পানির নিচ দিয়ে যাতায়াতের এই সহজ বুদ্ধিটা বের করেছিল।
বিশ্বের প্রথম আন্ডারওয়াটার টানেলটি তৈরি হয়েছিল লন্ডনের টেমস নদীর নিচ দিয়ে। ১৮২৫ থেকে ১৮৪৩ সালের মধ্যে এই টানেলটি নির্মাণ করা হয়। এটি ১৩০০ ফিট লম্বা, ৩৫ ফিট চওড়া এবং এর উচ্চতা ২০ ফিট। এটি ওয়াপিং ও রদারহিড শহর দু’টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
সেই সময়ে নতুন আবিষ্কৃত টানেলিং শিল্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল টেমস টানেল। এটি মূলত ঘোড়ার গাড়ি চলার জন্য তৈরি করা হলেও এখন এই টানেলটি রেলপথ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
শুধু টেমস টানেল নয়, বিভিন্ন দেশে এমন আরো অনেক আন্ডারওয়াটার টানেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সিডনি হার্বার টানেল, ভার্ডো টানেল, সেভার্ন টানেল, নর্থ কেইপ টানেল উল্লেখযোগ্য।
নান্দনিক ও আধুনিক স্থাপত্যশিল্প এসব টানেলকে পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৫