পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। খাল-বিল, পুকুর, হ্রদ- সব জায়গায়ই থাকে পানি।
সমুদ্রের পানির ভেতরে লবণ আসে মূলত ডাঙা বা স্থলের পাথর থেকে। বৃষ্টিপাতের সময় বৃষ্টির যে ফোঁটাগুলো ডাঙায় পড়ে সেগুলোতে আশপাশের বাতাস থেকে কার্বন-ডাইঅক্সাইড মিশে যায়। কার্বন-ডাইঅক্সাইড আর পানি মিলে তৈরি করে কার্বনিক অ্যাসিড, যার ফলে বৃষ্টির পানি একটু অ্যাসিডিক হয়ে যায়।
এই বৃষ্টির পানি যখন পাথরের গায়ে পড়ে, তখন এর ভেতরের অ্যাসিড পাথরের গা বেয়ে নামে এবং আয়ন তৈরি করে। এই আয়নগুলো আবার গড়িয়ে পড়ে নদী বা হ্রদের জলে। সেখান থেকে গিয়ে মেশে সমুদ্রের পানিতে।
এভাবে বিভিন্ন রকম আয়ন সমুদ্রের পানিতে থাকে। এগুলোর মধ্যে কিছু সামুদ্রিক জীব খাদ্য উৎপাদন ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে এবং সমুদ্রের পানি থেকে সরিয়ে ফেলে। বাকিগুলো সমুদ্রের পানিতেই মিশে থাকে। দীর্ঘ সময় এভাবে সমুদ্রের পানিতে থেকে আয়নগুলোর পরিমাণ বাড়তে থাকে।
এসব আয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সোডিয়াম ও ক্লোরিন। সমুদ্রের পানিতে এই দুটোর পরিমাণ ৯০ শতাংশ। সোডিয়াম ও ক্লোরিন লবণাক্ত। মূলত এই দুটো মৌল একত্রিত হয়ে তৈরি করে সোডিয়াম ক্লোরাইড, যাকে আমরা বলি লবণ।
সমুদ্রের পানিতে সোডিয়াম ও ক্লোরিন আয়ন মিলে লবণ তৈরি করে। এই দুটোর পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় সমুদ্রের পানিতে লবণের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে।
এজন্যই সমুদ্রের পানি লবণাক্ত হয়।
বাংলাদেম সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৫
এএ