ইচ্ছেঘুড়ির বন্ধুরা, তোমাদের একটি প্রশ্ন করি। তোমরা কি কখনো ভূত দেখেছো? কিংবা বিশ্বাস করো ভূত বলে কিছু আছে? কি গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসলে নাকি! ভাবনার কিছু নেই।
কিন্তু বন্ধুরা, কুজির আলীর গায়ে যতই শক্তি থাক না কেন আমি ডানপিঠে এক খোকা কে চিনি। বাঘের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তি যে খোকার আছে। তাহলে শোনো সে কথাই ছড়ায় ছড়ায় বলি। ‘ডানপিঠে সেই খোকা/যায় কি তাকে রোখা/লড়ল বাঘের সাথে এবং/করল কুপোকাত/ভয় পেয়ে সব বনের পশু/কাঁপলো সারারাত। ’
রাতের আলো-আঁধারিতে আমরা কতোকিছুই তো দেখি। আকাশ দেখি। চাঁদ দেখি। চাঁদের জোছনা দেখি। দেখি জোনাক পোকার মিটিমিটি আলো। এই জোনাক পোকা কীভাবে কোথায় জ্বলে বা কোথায় থাকে তা কি তোমরা জানো? জানো তারপরও বলি। ‘রাত নিশুতি জোনাক পোকা/পিটিক পিটিক জ্বলে/ বাঁশবাগানে শিমের মাচায়/জারুল গাছের তলে/পুকুর পাড়ে পথের বাঁকে/জোনাক জ্বলে ঝাঁকে ঝাঁকে/শীতল হাওয়ায় ফুলের বাসে/মনটা উদাস করে/পদ্য লিখি একলা আমি/আমার পড়ার ঘরে। ’
পড়ার ঘরে বসে আমি লেখাপড়া করি আর তাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে। দেখি ‘চাঁদের দেশে খোকা-খুকু/দেখছে ঘুরে ঘুরে/সুখের প্রাসাদ গড়বে সেথা/হোক না যতই দূরে/তাই তো বুড়ি ডাক দিয়ে কয়/আয়রে আমার বুকে/দুঃখ জ্বালা কষ্ট ভুলে/থাকবি পরম সুখে। ’ বন্ধুরা, তোমাদের যখন মনে অনেক দুঃখ হয় তখন তোমরা কী করো? আমি কী করি জানো? আমি মজার মজার বই পড়ি। তখন মনটা ভালো হয়ে যায়। মজার বইয়ের কথা মনে হতেই আমার এ মুহূর্তে একটি বইয়ের নাম মনে পড়ছে। বইটির নাম ‘এক যে ছিল দুষ্টু ছেলে’। তোমরা এতক্ষণ ছড়ার টুকরা টুকরা যে অংশগুলো পড়লে তা এ বইটিতে আছে। তোমাদের জন্য বইটি লিখেছেন লেখক বন্ধু সরদার আবুল হাসান। লেখক তোমাদের জন্য এ বইটি মজার মজার ২২টি ছড়া দিয়ে সাজিয়েছেন। আর বইটির ৪ রঙা প্রচ্ছদ ও প্রতিটি ছড়ার সঙ্গে মিলতাল করে ছবি এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু মিজানুর রহমান শামীম। শব্দশিল্প প্রকাশন চট্টগ্রাম থেকে ফ্রেব্রুয়ারি ২০১১ সালে প্রকাশিত এই বইটির মূল্য ৫০ টাকা।