ঢাকা: ছায়া সুনিবিড় গ্রাম। সবুজ মাঠ।
গ্রামের অপরূপ প্রকৃতি এমনভাবেই পেন্সিল ও রং তুলির আচড়ে ফুঁটিয়ে তুলেছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শুভ।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে শুভর মতই প্রায় অর্ধশতাধিক শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রকৃতির নানা রূপ ফুটিয়ে তোলে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক সংগঠন ব্রাইডার টমরো’র আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। প্রতিযোগিতা শেষে সবাইকে প্রথম ঘোষণা করা হয়। তারপর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার ও ক্রেস্ট। পুরস্কার পেয়ে বেশ আনন্দিত কমলমতি এসব শিশু।
প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশুরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। লক্ষণীয় বিষয় হলো ক্ষুদে এ আঁকিয়েদের প্রায় সবার ছবিতে ফুটে ওঠে সবুজ পৃথিবীর আবেদন।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রখর শেখর পাল তো তার ছবির শিরোনামই দিয়েছে ‘সবুজ পৃথিবী চাই’। তার ছবিতে উঠে এসেছে গ্রাম, সবুজ মাঠ, নীল আকাশ ও সবুজ খেতের দৃশ্য।
পরে এক আলোচনা সভায় শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্পণ।
অর্পণ বলে, আমরা শিশু। আমাদের মতো করে আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের পৃথিবীটা হোক সবুজ। যেখানে থাকবে খেলার পরিবেশ, থাকবে সবার সঙ্গে মিলেমিশে কিছু শেখার সুযোগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. গোলাম রহমান বলেন, শিশুদের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা খারাপ। সে যা করতে চায়, যা হতে চায়, তাই হতে দেওয়া উচিত। সে যেন একা না থাকে, তার ব্যবস্থা বাবা-মাকেই করতে হবে। শিশুকে আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তাকে কোনো কিছু করতে বাধ্য করা যাবে না।
এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার বলেন, শিশুরা যা করতে চায়, ভবিষ্যতে সে কী হতে চায় তার প্রতি বাবা মাকে নজর দিতে হবে। শুধু পড়ালেখার জন্য চাপ দিলেই হবে না। মানসিক চাপ দিয়ে তার সুপ্ত মেধা নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির আহ্বায়ক জয় শ্রী জামান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক আনন্দিতা জামান, ফারসিত ভূঁইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫/আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা
এমআইকে/টিআই