আকাশে একটা তীব্র নীল আলোর ঝলকানি দেখা গেল। কিছুক্ষণ পর গোল চাকতির মত কিছু একটা উড়তে দেখা গেল।
ই২গ : আমাদের কি জন্য পাঠিয়েছে মনে আছে?
ই৩গ : মনে থাকবে না কেন?
ই২গ : আচ্ছা বলতো দেখি?
ই৩গ : পৃথিবী থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী ধরে নিয়ে যেতে হবে।
ই২গ : ভালো। তবে আমাদের তাড়াতাড়ি করতে হবে। হাতে সময় বেশি নেই। আমাদের কথা জানাজানি হলে বিপদ।
দুজনে কাজে নেমে পড়লো। যাওয়ার আগে অদৃশ্য হওয়ার কাপড় পরে নিল। প্রথমে তারা একটা পার্কে ঢুকলো। সেখানে এক মহিলা তার বাচ্চা কোলে নিয়ে যাচ্ছে। ই২গ একটা যন্ত্র বের করে সেদিকে তাক করলো। যন্ত্রে কি যেন লেখা উঠলো। সেটা দেখে ই২গ মাথা নেড়ে বললো, হবে না। এই প্রাণী এইটুকু ভারেই ক্লান্ত।
আরেক জায়গায় এক লোক চায়ের ফ্লাস্ক বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ই২গ সেদিকে যন্ত্র তাক করে হতাশ হয়ে বললো হবে না। ই৩গ বললো, এরাই এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। এরা তাহলে বাদ। শক্তিশালী প্রাণীর খোঁজে তারা এক জঙ্গলে ঢুকলো। সেখানে একটা কুকুর জ্বিহ্বা বের করে বসে আছে। সেটা দেখেই তারা এই প্রাণীকে বাদ দিলো। একে একে ঘোড়া, হাতি, শিয়াল, বাঘ, সিংহ, ভালুক আরো অনেক প্রাণী দেখে ফেললো। কিন্তু কোনটাই পছন্দ হলো না। শেষে বিরক্ত হয়ে ই৩গ বললো, ধূর শুধু শুধু সময় নষ্ট।
হঠাৎ ই২গ লাফ দিয়ে উঠে বললো, পেয়েছি।
ই৩গ নিচে চেয়ে দেখে কিছু কালো রংয়ের প্রাণী সারিবদ্ধভাবে হেটে যাচ্ছে।
ই২গ বললো, এই দেখ্ যন্ত্রে কি লেখা উঠছে। এই প্রাণী নিজের চেয়ে চারগুণ বড় কিছু বহন করতে পারে।
তারা এই কালো রং এর প্রাণী, যাকে আমরা পিঁপড়া বলি সেটা নিয়ে তাদের গ্রহে চলে গেল। সেখানে গিয়ে তারা পিঁপড়ার উপর গবেষণা চালালো। তারপর পিঁপড়ার সমস্ত গুণাবলি নিজেদের উপর প্রয়োগ করলো। আস্তে আস্তে তারা নির্বোধ, কিন্তু শক্তিশালী ও কর্মঠ প্রাণীতে পরিণত হলো।