বিপদে বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়। বিপদের দিনে বন্ধু চিনেছি আমরাও, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশও।
ভারত
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে ভারত। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, সরবরাহ করেছে যুদ্ধের অস্ত্র। আশ্রয় দিয়েছে প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে। শেষ দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এ দেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে গড়ে তোলে ‘যৌথ বাহিনী। ’ এই বাহিনী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় এবং যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রায় দেড় হাজার ভারতীয় সৈন্য মারা যান। এছাড়া ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, কর্মকর্তা, মন্ত্রীসহ আরও অনেকে বাংলাদেশের প্রতি সেসব দেশের সমর্থন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ সফর করেন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন
ভারতের পরপরই একাত্তরে বাংলাদেশের পরম বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া)। সোভিয়েত ইউনিয়ন ইয়াহিয়া খানকে নিরীহ বাঙালির উপর বর্বর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানায়। সোভিয়েত পত্রিকাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পাকিস্তানিদের নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশ করে।
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিলো। বিবিসিসহ বিভিন্ন ব্রিটিশ মিডিয়া বাংলাদেশের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা প্রচার ও প্রকাশ করে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় লন্ডনই ছিলো বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের নানা কর্মসূচির প্রধান কেন্দ্র।
এছাড়া ব্রিটিশ নাগরিকেরা এদেশের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা করেন। ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন, পণ্ডিত রবি শংকর ও আলী আকবর খানের সঙ্গে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন পেতে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর আয়োজন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এএ