সেই ছোট্ট থেকে মায়ের পাশাপাশি যে মানুষটি তোমাকে আদর দিয়ে বড় করে তুলছে তাকে তো তুমি অবশ্যই চেনো। যে তোমার জন্য সাত সকালে বেরিয়ে যান, আর সন্ধ্যে রাতে ফিরে আসেন মজার মজার সব খাবার নিয়ে।
প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বাবা দিবস। ১৯১০ সালে আমেরিকার এক ব্যক্তি সোনোরা লুইসের একান্ত প্রচেষ্টায় প্রথম বাবাদের জন্য বিশেষ এ দিনটি উদযাপিত হয়। সোনোরা ছিলেন ৬ ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মা ইলেন স্মার্ট যখন মারা যান, তখন সোনোরার বয়স ছিল মাত্র ষোলো বছর। মা মারা যাওয়ার পর বাবা উইলিয়াম স্মার্ট কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সন্তানদের মানুষ করার দায়িত্ব। সারাণ তাদের দেখেশুনে রাখতেন তিনি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাদের মায়ের অভাব এতটুকু বুঝতে দেননি স্মার্ট।
একবার মা দিবসের অনুষ্ঠানে চার্চে যান সোনোরা। তখনই তার মাথায় এ চিন্তাটা আসে। মায়েদের সম্মান জানানোর জন্য একটি দিন যদি থাকতে পারে, বাবাদের জন্য কেন নয়? বিশেষ একটি দিনে বাবার প্রতি সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনমত গড়ে তুললেন তিনি। এরপর নানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯১০ সালের ১৯ জুন, অর্থাৎ জুন মাসের তৃতীয় রোববার বড় পরিসরে প্রথম বাবা দিবস পালিত হয়।
শুরু হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটিকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের আন্দোলন। অবশেষে প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন ১৯১৬ সালে বাবা দিবসের ধারণাকে স্বীকৃতি দেন। এরপর চার দশক পর্যন্ত এ দিবসটির কার্যক্রম কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। এরপর ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন স্থায়ীভাবে বাবা দিবসকে রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে পৃথিবীর নানা দেশে এ দিবসটি বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে।
তোমার মতো প্রায় সব পরিবারেই বাবা হচ্ছেন সবচেয়ে বড় শক্তি। তোমার মতো অনেক শিশু চোখেই কাছেই বাবা পরিবারের সবচেয়ে মতাধর, জ্ঞানী, স্নেহশীল এবং পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তুমি যখন আরও বড় হবে তখন এই বাবার পরামর্শের মাধ্যমেই হয়তো এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে। বাবা দিবসে বাবাকে একবারের জন্য হলেও বলো ‘বাবা তোমাকে অনেক ভালোবাসি’।
বাবা দিবসে বাবাকে মজার মজার গিফট দিতে ভুলো না যেনো। তোমাদের সবাইকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা।